shono
Advertisement
Classical language

মিলেছে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি, কী কী সুবিধা পাবে বাংলা?

Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 10:33 AM Oct 04, 2024Updated: 11:32 AM Oct 04, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এই স্বীকৃতির পরে একঝাঁক সুবিধা মিলবে বাংলা ভাষার জন্য। বাংলা ভাষার বিশেষজ্ঞদের জন্য দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেবে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এছাড়াও সেন্টার ফর এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করে বিশেষভাবে পড়ানো হবে বাংলা ভাষা। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার প্রচারও হবে। 

Advertisement

বাংলার পাশাপাশি আরও পাঁচটি আঞ্চলিক ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার তকমা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া। উল্লেখ্য, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে লড়ে চলেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। পাতার পর পাতা গবেষণার কাজ কেন্দ্রের দরবারে জমা দেওয়া হয়েছে। তার পরও বাংলার মতো সমৃদ্ধ, সৃষ্টিকর্মের ভাষা ধ্রুপদী জগতে ঠাঁই পায়নি। অনেকেই এনিয়ে বার বার মুখর হয়েছেন। এতেও বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ করা হয়েছে। অবশেষে স্বীকৃতি মিলেছে বাংলা ভাষার।

কেন্দ্রের তরফে এই স্বীকৃতি মেলার পরে বাংলা ভাষার জন্য বরাদ্দ থাকবে একগুচ্ছ সুযোগসুবিধা। বাংলার প্রাচীন পুঁথি এবং অন্যান্য লেখা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাচীন গ্রন্থগুলো ডিজিটাল করা হবে। আরও বেশি করে বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ এবং প্রকাশনা হবে এই স্বীকৃতির ফলে। কেবলমাত্র বাংলা ভাষার চর্চা করতে তৈরি হবে বিশেষ গবেষণা কেন্দ্র। বাংলা নিয়ে উচ্চশিক্ষায় গেলে বৃত্তি পাবেন পড়ুয়ারা।

এছাড়াও বাংলা ভাষার সঙ্গে জড়িত স্থাপত্য, বিশেষ ভবনগুলোকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে এই স্বীকৃতির পর। বাংলার সঙ্গে যুক্ত সংস্কৃতিকেও বাঁচিয়ে রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বাংলা পড়ানোর বিশেষ কোর্স থাকবে। ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার পরে বাংলা ভাষা নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হতে পারে। বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাংলার পাশাপাশি আরও পাঁচটি আঞ্চলিক ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার তকমা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া।
  • কেন্দ্রের তরফে এই স্বীকৃতি মেলার পরে বাংলা ভাষার জন্য বরাদ্দ থাকবে একগুচ্ছ সুযোগসুবিধা। বাংলার প্রাচীন পুঁথি এবং অন্যান্য লেখা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
  • বাংলা ভাষার সঙ্গে জড়িত স্থাপত্য, বিশেষ ভবনগুলোকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে এই স্বীকৃতির পর।
Advertisement