রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে দিল্লিতে দরবার মুকুল রায়-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের। বৃহস্পতিবার, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যে হিংসার ঘটনায় আহত এবং নিহত কর্মীদের পরিবারকে নিয়ে, রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। এদিন তাঁদের হাতে হিংসার ঘটনার তথ্য সম্বলিত একটি পুস্তিকা তুলে দেওয়া হয়।
[জলের পাইপ ভেঙে নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু, হাইল্যান্ড পার্কের আবাসনে চাঞ্চল্য]
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে কার্যত সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসকদল। এই অভিযোগ নিয়েই এদিন রাজধানীতে সরব হন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্য, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরির মতো নেতারা। রাজনাথ সিং ও বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁদের। দিল্লিতে বাংলার ভোটসন্ত্রাস নিয়ে ধরনা কর্মসূচিও রয়েছে রাজ্য বিজেপির।
মনোনয়ন পর্বে বীরভূমে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত ছ’জন কর্মীকে নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের নেতাদের সামনে তৃণমূলের ‘বীরভূম মডেল’-কে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছিলেন শীর্ষ নেতারা। আগেই বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বীরভূমে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দলবল। শাসকদল ও পুলিশ যৌথভাবে আক্রমণ করেছে বিজেপি প্রার্থী ও সমর্থকদের। যদিও সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে চলা হিংসায় এপর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তুঙ্গে উঠেছে শাসক-বিরোধীর তরজা। বিবাদ গড়িয়েছে হাই কোর্ট পর্যন্ত। আপাতত আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে আপাতত পরিস্থিতি জটিল। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভবিষ্যৎ কার্য্পন্থা ঠিক করে নিতে চাইছেন রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। এদিন দেখা করার পর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
[সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত ছুটবে অত্যাধুনিক চালকহীন রেক]
The post পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে দিল্লিতে দরবার রাজ্য বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.