সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল বেঙ্গালুরু। নির্মীয়মান মেট্রোর পিলার ভেঙে পড়ায় বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক মা ও তাঁর আড়াই বছরের সন্তান। যে ঘটনায় ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য। কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা, গাফিলতি কার, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে বেঙ্গালুরু মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এদিন সকালে কল্যাণ নগরের রাস্তা দিয়ে মোটরবাইকে স্বামী লোহিতের সঙ্গে যাচ্ছিলেন স্ত্রী তেজস্বিনী ও তাঁদের দুই সন্তান। রাস্তার পাশেই নির্মীয়মান মেট্রোর কাজ চলছিল। ঠিক সেই সময়ই আচমকা একটি পিলার ভেঙে পড়ে রাস্তার উপর। তলায় চাপা পড়ে যান ওই চার বাইক আরোহী। প্রত্যেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তেজস্বিনী ও তাঁর আড়াই বছরের ছেলে বিভানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন লোহিত ও তাঁদের মেয়ে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে দু’জনের। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ঘটনার সিসিটিভ ফুটেজ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা হেলমেট পরেই বাইকে যাচ্ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘নাগরিকের জাতি পরিচয় জিজ্ঞাসা করা আইনত অপরাধ’, জনগণনা নিয়ে তোপ রূপান্তরকামী নেত্রীর]
ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রাস্তার খানাখন্দের জন্যও এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে এবং আগামী দিনেও ঘটতে পারে বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কর্ণাটক সরকারকে একহাত নিয়েছে বিরোধীরা।
মহিলার শ্বশুর বিজয়কুমারের অভিযোগ, মেট্রো নির্মানের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেননি। দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে নির্মান কাজ বন্ধ হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্ত নিয়ম মেনেই নির্মান কাজ চলছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এহেন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। গাফিলতি কোনও ব্যক্তির কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন বেঙ্গালুরু মেট্রোর এমডি অঞ্জুম পারভেজ। পাশাপাশি রেলের তরফে ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করা হয়েছে।