সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্নে (Porn) আসক্ত স্বামী। কথা বলেন কলগার্লদের সঙ্গে। তাতেই আপত্তি করেছিলেন স্ত্রী। বিরোধিতা করায় স্ত্রীর উপর মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে বাসি খাবার খেতে দেওয়া হয়। আদালতের দ্বারস্থ ওই গৃহবধূ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আর্থিক রোজগারের নিরিখে স্বামীকে সুপাত্র বলেই ভেবেছিলেন পরিজনেরা। সে কারণেই দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে স্থির হয়। পঞ্জিকা মতে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর চার হাত এক হয় তাঁদের। বিয়ের আগে সেভাবে মেলামেশা হয়নি। তাই বিয়ের পরই স্বামীকে ধীরে ধীরে চিনতে শুরু করেন বেঙ্গালুরুর ওই তরুণী।
[আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই সুভাষগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার জেএমবি জঙ্গি, উদ্ধার জাল পরিচয়পত্র]
প্রথম প্রথম ভালই লাগছিল। স্বামীর সঙ্গে ধীরে ধীরে সুসম্পর্কই গড়ে উঠছিল তরুণীর। তবে দিনকয়েকের মধ্যেই ছন্দপতন। স্বামীর সম্পর্কে ধারণা বদলাতে শুরু করে তাঁর। তরুণীর অভিযোগ, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন নগদ ২লক্ষ টাকা এবং ১লক্ষ টাকার সোনার গয়নার দাবি জানায়। বাপের বাড়ি থেকে অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে আনেন তরুণী।
তরুণীর দাবি, এরপর তিনি বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী পর্নে আসক্ত। প্রতি রাতে কলগার্লদের (Callgirl) সঙ্গেও কথা বলেন স্বামী। বারবার নীলছবি দেখার কথা বলেন তিনি। অভিযোগ, স্ত্রীর কথা শুনতেন না ওই ব্যক্তি। পরিবর্তে পর্ন দেখায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে বিরক্ত লাগতে শুরু করে তার। স্ত্রীর উপর মানসিক অত্যাচার ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেকথা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানান তরুণী। তাতেও সমস্যা মেটেনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরাও তাঁকে অত্যাচার করতে শুরু করে। বাসি খাবার দেওয়া হত বলেও অভিযোগ ওই গৃহবধূর। মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে করতে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে তরুণীর। বাধ্য হয়ে বাসাভানাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হন তরুণী। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সুবিচার চেয়ে আদালতেও যান।