সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের দাবি আগেই তুলেছিলেন। এবার জনগণনাতেও জাতির উল্লেখ (Caste-based census) চাইছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর দাবি, জনগণনার ক্ষেত্রে জাতির উল্লেখ থাকলে সরকারের কাছে স্পষ্ট তথ্য থাকবে দেশে কোন জাতির জনসংখ্যা কত। সেই মতো সরকারও পরিকল্পনা করতে পারে।
২০১১ সালের পর চলতি বছরই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপিরই জোটসঙ্গী তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য,”আমরা এর আগে ২০১৯ এবং ২০২০-তেও বলেছি। আবারও বলছি। অন্তত একবার জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা হোক। এতে পিছিয়ে পড়াদেরই লাভ। এর মাধ্যমে তাঁরাই সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা আরও ভালভাবে পাবে। কারণ, আমরা বুঝতে পারব কোন জাতির সংখ্যা ঠিক কত, এবং সেই মতো পরিকল্পনা করতে পারব।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে নীতীশের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত, তাঁদের তীব্র বিরোধী তথা বিহারের প্রধান বিরোধী দল RJD-ও। তাঁরাও জাতপাতের ভিত্তিতেই জনগণনার পক্ষে।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, প্রসার ভারতীর প্রাক্তন CEO জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে TMC]
উল্লেখ, বিহারের ভোটের আগে নীতীশ কুমারই জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমি চাইব, এবার থেকে সংরক্ষণ হোক জনসংখ্যার ভিত্তিতে। সব বর্ণের মানুষ জনসংখ্যার সমানুপাতে সংরক্ষণ পাক। আর এতে আমার কোনও দ্বিমত নেই।”নীতীশের স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, ক্ষমতায় ফিরলেই তিনি জনসংখ্যার ভিত্তিতে সব বর্ণের মানুষের জন্য সংরক্ষণ করতে চান। কিন্তু ক্ষমতায় ফেরার এতদিন পরেও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করে উঠতে পারেননি।