সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে নিখোঁজ ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না বাবা-মা। হাসপাতাল থেকে আসা একটি ফোনে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল বিহারের সমস্তিপুরের (Bihar Samastipur) বৃদ্ধ দম্পতির মাথায়। জানতে পারলেন তাঁদের সন্তান আর বেঁচে নেই। শুধু তাই নয়, তাঁর দেহ ফেরত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে!
সন্তানহারা বাবা-মা যেন দিশেহারা হয়ে পড়েন। এমনিতেই সংসারে নুন আনতে পান্তা ফোরায়। সংসারের হাল ফেরানোর জন্য যার উপর ভরসা করেছিলেন, সেই ছেলেও আর নেই। তাঁর দেহটুকুর উপরও অধিকার নেই। সেটা পাওয়ার জন্যও খরচ করতে হবে ৫০ হাজার। বাধ্য হয়ে ভিক্ষার রাস্তা বেছে নেই সমস্তিপুরের ওই বৃদ্ধ দম্পতি। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের কাছে হাত পাততে দেখা যায় তাঁদের। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘আরও কমিশন চাই’, এবার দিল্লির রাজপথে আন্দোলনে নামছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাই]
ওই বৃদ্ধ দম্পতি জানিয়েছেন, “আমাদের ছেলে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ ছিল। সমস্তিপুর সদর হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলল, ওর দেহ নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। আমরা গরিব মানুষ। কী করে এত টাকা দেব?” জানা গিয়েছে বিহারের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং বিজেপির (BJP) জোট সরকার পরিচালিত ওই সরকারি হাসপাতালটির অধিকাংশ কর্মী নামমাত্র বেতনে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে। অতিরিক্ত রোজগারের জন্য এভাবে রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে ঘুষ চায়। এই ঘটনা আকছার ঘটছে।
[আরও পড়ুন: ভারত সীমান্তে চিনা সামরিক তোড়জোড়, সংঘাতের আশঙ্কায় উদ্বেগ মার্কিন কমান্ডারের]
যদিও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সমস্তিপুর জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করেছে। ওই দম্পতির হাতে তাঁদের ছেলের দেহ তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যে কর্মী তাঁর কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।