স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: ‘সাইকেল গার্ল’ জ্যোতি কুমারীর (Jyoti Kumari) পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। গত লকডাউনের সময় ভাইরাল হন জ্যোতি। অসুস্থ বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে হরিয়ানা থেকে বিহার প্রায় ১২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই কিশোরী। বাবাকে নিয়ে নিরাপদে গ্রামে ফেরার তাঁর অদম্য জেদের ছবি গত বছর নাড়িয়ে দিয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। কিন্তু সেই ছবি দেখেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। কোনও কোনও মহল থেকে যৎসামান্য সাহায্য পেলেও, জ্যোতির পরিবার ছিল সেই তিমিরেই।
সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর বাবা মোহন পাসোয়ান (Mohon Paswan)। এই অবস্থায় ছোট ছোট ভাইবোনদের নিয়ে কী করবেন? সেই আশঙ্কায় দিন কাটছিল জ্যোতির। জ্যোতির বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয় এক যুব কংগ্রেস (Youth Congress) নেতাকে তাঁদের বাড়িতে পাঠান প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদকের লিখিত শোকবার্তা-সহ জ্যোতির বাড়িতে উপস্থিত হন সেই নেতা। এরপর ফোনে জ্যোতির সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi)। সেখানেই জ্যোতিকে তিনি বলেন কোনও চিন্তা না করে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে। পরে সংবাদমাধ্যমকে জ্যোতি বলেন, “প্রিয়াঙ্কা দিদিকে বাড়ির সব কথা বললাম। উনি বললেন কোনও চিন্তা না করতে। উনি সবসময় পাশে আছেন। পরে দেখা করবেন বলেছেন।” একপ্রকার নীরবেই অসহায় পরিবারটির পাশে থাকতে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এর আগে একইভাবে দিল্লির নির্ভয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হয়।
[আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত, মন্তব্য মোদির]
একদিকে যখন জ্যোতির পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন প্রিয়াঙ্কা, তখন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন বিনামূল্যে দেওয়ার দাবিও তুললেন। তাঁর বক্তব্য কেন বারবার বিশ্বের ওষুধের রাজধানীতেই ওষুধের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে? এর দায় কার? ইঞ্জেকশনটির দাম অনেক বেশি। আয়ুস্মান যোজনার অন্তর্ভুক্তও নয়। মোদিজির উচিত দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া। বোন প্রিয়াঙ্কার মতো বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধীও। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির টুইটে এদিন উঠে আসে অসমের ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনা। লেখেন, ‘করোনার পাশাপাশি বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা থেকেও ডাক্তারদের বাঁচতে হবে। রক্ষাকর্তাদের বাঁচান।’