সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার মূত্র কাণ্ডের পর এবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হল সর্বসমক্ষে মূত্রত্যাগ করার জন্য। ওই কাণ্ড ঘটানোর আগে তিনি সকলকে নিজের গোপনাঙ্গও প্রদর্শন করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পান। গোটা ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।
ঠিক কী হয়েছিল? বিহারের জওহর আলি খান নামের এক ব্যক্তি দিল্লি থেকে সৌদি আরবের দাম্মাম যাচ্ছিলেন গত ৮ জানুয়ারি। সেই সময় বিমানবন্দরের (Delhi airport) ৩ নম্বর টার্মিনালে থাকা অবস্থায় আচমকাই তিনি তাঁর গোপনাঙ্গ দেখাতে থাকেল সর্বসমক্ষে। তারপর প্রস্রাব করে দেন সেখানে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আশপাশে থাকা অন্য যাত্রীদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহারও করেন।
[আরও পড়ুন: লোকসভার প্রস্তুতি শুরু! জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মোদি]
সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ ও ৫১০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এই ঘটনায় রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগে শংকর মিশ্র নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৬ নভেম্বর আমেরিকা থেকে দিল্লিতে ফিরছিলেন ৭০ বছর বয়সি বৃদ্ধা। বিমানের বিজনেস ক্লাসে আচমকাই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন শংকর মিশ্র। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমন্ত থাকার কারণে ঘটনাটি সকলের নজর এড়িয়ে যায়। বিমানের কর্মীদের এই ঘটনা জানালে তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে ঘুমিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন মুখ না খোলেন, সেই কথাও বলা হয় বৃদ্ধাকে। বিমানকর্মীদের আচরণে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন ওই বৃদ্ধা। পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বৃদ্ধা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শংকরকে গ্রেপ্তার করা হল। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।