সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: প্রত্যেক নির্বাচনের আগে করা হোক বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন) বা এসআইআর। এবার এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন বিজেপি নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।
বিহার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এসআইআর ফরমান নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। কমিশন ছাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবাদ আগেই পৌঁছিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এবার ঘুরপথে শীর্ষ আদালতে এল বিজেপিও। দলগতভাবে সরাসরি না হলেও সুপ্রিম কোর্টের কড়া নাড়লেন অশ্বিনী। অবসরকালীন বেঞ্চে পিটিশন দায়ের করেন তিনি। এদিন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে নিজের আবেদনের উল্লেখও করেন বিজেপি নেতা-আইনজীবী।
তাঁর দাবি, লোকসভা, বিধানসভা, ও স্থানীয় নির্বাচনের আগে প্রত্যেকবার এসআইআর করা হোক। যাতে ভোটাধিকার থাকে শুধু ভারতীয়দের হাতেই, বেআইনিভাবে দেশে বসবাসকারী বিদেশিদের কাছে নয়। একইসঙ্গে বুধবার এই বিষয়ে আদালতের যে শুনানি হতে চলেছে, তাতে তাঁর আবেদনকেও যুক্ত করার আবেদন করেন অশ্বিনী। এই সময় আদালত জানায়, আবেদনের ভুলত্রুটি খতিয়ে দেখে রেজিস্ট্রি সিদ্ধান্ত নেবে। যে আবেদন সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের করেছেন অশ্বিনী, তাতে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশের কারণে স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ২০০টি জেলা ও দেড় হাজার তহসিলের জনবিন্যাসে ব্যাপক বদল এসেছে। অনুপ্রবেশকারীরা বলপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন করিয়েছে, হয়েছে জন বিস্ফোরণ।
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে। কিন্তু কমিশনের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রবল আপত্তি বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, এর ফলে বহু বৈধ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। বস্তুত কমিশনের এই ভোটার তালিকা সংশোধনীকে ঘুরপথে এনআরসি করার চেষ্টা হিসাবেও দেগে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
