সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রশ্নচিহ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। ফিট সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দার আশায় ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। বিরোধী অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। পরিবর্তে ব্রিজ বিপর্যয়ের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র।
তিনি দু’টি টুইটের কথা উল্লেখ করেন। যাতে আগেভাগেই বলা হয়েছিল গুজরাটে কিছু ঘটতে চলেছে। যার ফলে প্রবল ধাক্কা খাবে বিজেপি। ওই দু’টি টুইটের সূত্র ধরে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ব্রিজ বিপর্যয় কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। ব্রিজ বিপর্যয়ের নেপথ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র।
[আরও পড়ুন: গুজরাট ব্রিজ বিপর্যয় নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা তৃণমূলের, সিবিআই তদন্ত দাবি কংগ্রেসের]
যদিও ষড়যন্ত্রের দাবি নামতে নারাজ তৃণমূল। ব্রিজ বিপর্যয়ে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশের পাশাপাশি গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে (Morbi Bridge Collapse) আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। বিজেপি যেভাবে দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করে তার প্রতিবাদ জানাই। পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয় নিয়ে মোদিজী এখানে এসে ভগবানের হাত বলেছেন। রাজনীতি করা মানুষগুলোর উপর এটি ভগবানের অভিশাপ। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গতকাল টুইট করেছেন।”
মচ্ছু নদীর উপরের কেবল ব্রিজ বিপর্যয়ের ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রথমত, ফিট সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি তা খুলে দেওয়া কেন? দুর্ঘটনার পরেও চিকিৎসার সঠিক বন্দোবস্ত করা হল না কেন? ব্রিজ থেকে কিভাবে কাটমানি আসতে পারে? যে সংস্থাকে ব্রিজটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের পারদর্শিতা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই মনে করছে তৃণমূল। দুর্ঘটনাস্থলে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল পাঠানোর দাবিও জানানো হয়েছে। এছাড়া সিবিআই, ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের দাবিতে সরব বাংলার শাসকদল। এদিকে, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার মোরবির দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। আহতদের দেখতে যেতে পারেন হাসপাতালেও।