সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) বাড়ি থেকে টেনে বের করে নিয়ে খুন করল মাওবাদীরা। পরিবারের সদস্যদের সামনেই নৃশংসভাবে খুন করা হয় ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) বিজেপি নেতা নীলকান্ত কাক্কেমকে। পরিবারের সঙ্গে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন নীলকান্ত। সেখানেই জোর করে টেনে নিয়ে এসে ধারাল অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। মাওবাদীদের (Maoist) হাতেই তিনি খুন হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল? ৫ ফেব্রুয়ারি একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন নীলকান্ত । সেখানেই দুপুর তিনটে নাগাদ হাজির হয় তিন সশস্ত্র মাওবাদী নেতা। তারাই জোর করে বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনে বিজেপি নেতাকে। তাঁর স্ত্রী ললিতা জানিয়েছেন, বাড়ির সকলের সামনেই ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় নীলকান্তকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়ে যায় তিন মাওবাদী।
[আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্প LIVE UPDATE: কম্পন বিধ্বস্ত তুরস্কের পাশে গোটা বিশ্ব, উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে পাকিস্তানও]
স্থানীয় থানা থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে দিনের আলোয় খুন হন বিজেপি নেতা। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এসিপি চন্দ্রকান্ত গাভার্না বলেছেন, “প্রাথমিকভাবে অনুমান, মাওবাদীরাই খুন করেছে বিজেপি নেতাকে। যদিও এখনও খুনিদের চিহ্নিত করা যায়নি। ঘটনার বিশদ তদন্ত চলছে।” দীর্ঘ পরিকল্পনার পরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১৫০ জন মাওবাদীর একটি দল গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছিল। তার মধ্যেই তিনজন গ্রামে ঢুকে বিজেপি নেতাকে খুন করে। সাধারণ পোশাকে জনতার সঙ্গে মিশে ছিল তারা।
জানা গিয়েছে, মৃত নীলকান্ত দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিতে রয়েছেন। উসুর ব্লকের বিজেপি মাদল প্রেসিডেন্ট হিসাবে ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। তফসিলি নেতা হিসাবে ধর্মান্তরের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। স্থানীয় বিজেপি মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই মাওবাদীরা হুমকি দিয়েছিল নীলকান্তকে। বিজেপির হয়ে কাজ করলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। খুনের পর তাঁর অভিযোগ, “সমান্তরাল ভাবে দ্বিতীয় একটি সরকার চালাচ্ছে মাওবাদীরা। বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের (BJP) খুঁজে খুন করছে তারা।