সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দরিদ্রদের কল্যাণের সামনে কোনও আইন কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। যদি দাঁড়ায়, তাহলে সরকারের অধিকার রয়েছে সেই আইন ভাঙার। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি (Nitin Gadkari)।নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে এমনই বিতর্কিত কথা বলতে শোনা গেল। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, আমলাদের কাজ মন্ত্রীদের কথা শুনে চলা এবং ‘ইয়েস স্যর’ বলা।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি (BJP) নেতা? তাঁর কথায়, ”কোনও আইন কখনও গরিব মানুষদের কল্যাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সেজন্য যদি ১০ বারও আইন ভাঙতে হয়, আমরা দ্বিধা করব না। মহাত্মা গান্ধীও এমন কথাই বলেছিলেন।” তিনি মনে করিয়ে দেন ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রে ঠিক এমনই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মনোহর যোশী। গদরিচোলি ও মেলঘাট অঞ্চলে আদিবাসী শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছিল। গ্রামে ছিল না কোনও রাস্তা। আসলে অরণ্য আইনের ফাঁসেই তা করা যাচ্ছিল না।
[আরও পড়ুন: আগেই মিলেছিল ভাঙনের আঁচ, তবুও নীতীশ কুমারকে কেন আটকাল না বিজেপি]
সেই সমস্যার সমাধান কীভাবে তিনি করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে গড়করির মন্তব্য, ”আমি সব সময়ই আমলাদের বলে এসেছি, আপনারা যেমন বলবেন আমরা সেভাবে কাজ করব না। আপনারা কেবল ‘ইয়েস স্যর’ বলবেন আর মন্ত্রীদের নির্দেশ মেনে চলবেন। আমরা (মন্ত্রীরা) যেভাবে চাইব সরকার সেভাবে চলবে।”
এদিকে মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের ৪০ দিন পর ১৮ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন। সেই প্রসঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভাকে শুভেচ্ছা জানান নীতীন। তিনি বলেন, ”নবনির্বাচিত মন্ত্রীদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের আশা, মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কাজে আসবে।” উল্লেখ্য, যে ১৮ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বিজেপি থেকে রয়েছেন ন’জন। যেখানে অন্যতম নাম মহারাষ্ট্র বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল।