সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার রাতে বিধায়ক পুত্রের দপ্তরের সামনে আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অজিত গোষ্ঠীর এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির। ওই খুনের ঘটনায় এবার রাজনৈতিক চাপানউতর চরমে। বিজেপি-শিব সেনা (শিণ্ডে শিবির) শাসিত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ দাগছে বিরোধীরা। খুনের ঘটনা নিয়ে অযথা রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক ছিলেন ৬৬ বছরের সিদ্দিকি। বিধায়ক ছেলে জিশানের দপ্তরের সামনে গতকাল উৎসবের আমেজে ছিলেন তিনি। আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন। তখনই তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ এনসিপির প্রাক্তন বিধায়ককে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বিষ্ণোই গ্যাং। এভাবে বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনা মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলার দৈন্যদশাকে প্রমাণ করে, বক্তব্য কংগ্রেসের। এই বিষয়ে রবিবার মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, "বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু অত্যন্ত অবাক করে দেওয়া এবং বেদনাদায়ক। এই কঠিন সময়ে আমি তাঁর পরিবারের পাশে আছি। সরকারকে এই ঘটনার দায় নিতে হবে। অবশ্যই যেন উপযুক্ত বিচার হয়।" রাহুলের তোপ, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলার দৈন্যদশা।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মন্তব্য করেন, এমন ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির মর্মান্তিক মৃত্যু ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই শোকের মুহুর্তে আমি তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সমর্থকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকারকে অবশ্যই একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে। দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকার ঘটনার জবাবদিহি করতে হবে।" মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ দেগেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।
পালটা রাজ্যের বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারি ব্যাটন ধরেছেন দলের হয়ে। তিনি বলেন, "একনাথ শিণ্ডের মহারাষ্ট্র সরকার, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ারের এনডিএ সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাকেও শিগগির ধরা হবে।" তাঁর আরও বক্তব্য, "এই নিয়ে রাজনীতি ঠিক নয়। বাবা সিদ্দিক একজন বড় নেতা ছিলেন। মহারাষ্ট্রে কেউ আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত পর্যবেক্ষণ করছেন।" আরেক বিজেপি নেতা প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল রাহুলের মন্তব্য নিয়ে তোপ দেগেছেন।