সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ২৬/১১এর আতঙ্ক মুম্বইতে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রায়গড় সমুদ্রসৈকতে দু’টি নৌকা থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছে। তবে নৌকোতে কোনও যাত্রী ছিল না। আপাতত গোটা এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় পুলিশ। অনুমান, ওই নৌকাগুলি ওমান থেকে আসছিল।
জানা গিয়েছে, রায়গড়ের হরিহরেশ্বর ঘাটে একটি অস্ত্র বোঝাই নৌকো (Boat Carrying Arms) ভেসে আসে। সেখান থেকে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নৌকোতে ছিল প্রচুর কার্তুজও। অন্যদিকে ভারাদখোল এলাকাতে একটি লাইফবোট ভেসে আসে। সেখানেও কেউ ছিল না। উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় বিধায়ক অদিতি তাতকারে জানিয়েছেন, “প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রায়গড়ের দু’টি জায়গা থেকে অস্ত্র বোঝাই নৌকা পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি, অবিলম্বে এটিএসের বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু হোক।”
[আরও পড়ুন: যৌনতায় ‘না’, রাগের চোটে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করল স্বামী]
মহারাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী সুধীর মুনগান্তিওয়ার জানিয়েছেন, তদন্ত করার পরেই জানা যাবে কী উদ্দেশ্যে ওই নৌকাগুলি ভারতে এসেছিল। তিনি বলেছেন, “স্বাধীনতা দিবসকে নিশানা করে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল কিনা, তা জানা যায়নি। কার মদতে এই ঘটনা ঘটেছে, কোনও জঙ্গিদের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। তারপরেই আগামী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মুম্বইতে ২৬/১১ হামলার সময়েও জলপথেই ভারতে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা। সেই কারণেই বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোটা রায়গড় জুড়ে। তবে উপকূল রক্ষা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল পরমেশ শিবমণি জানিয়েছেন, ভাসতে ভাসতেই রায়গড়ে এসেছে ওই নৌকা দু’টি। গত ২৬ জুন ওমানে ওই নৌকা থেকে চার আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সম্ভবত তাদের আত্মরক্ষার জন্যই নৌকাতে অস্ত্র রাখা হয়েছিল। দুবাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা, গুলিতে নিকেশ লস্কর জঙ্গি]