সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'স্টকিং' বা 'অবৈধ নজরদারি' নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল বম্বে হাই কোর্ট। আদালত জানাল, মাত্র এক বার কোনও মেয়ের পিছু নেওয়াকে 'স্টকিং' বলা যায় না। এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং তার পিছু নেওয়ার মামলায় এই মন্তব্য করল এক বিচারপতির বেঞ্চ। পাশাপাশি আদালত জানায়, কোনও মেয়ের পিছু ধাওয়া করা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়।
১৪ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং তার পিছু ধাওয়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৯ বছরের দুই তরুণ। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এক দিন নাবালিকার পিছু নিয়ে তার বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মূল অভিযুক্ত। নাবালিকা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। অভিযোগ, পরেও সুযোগ নাবালিকাকে উত্ত্যক্ত করেন ওই তরুণ। এমনকী ওই বছরের ২৬ আগস্ট মেয়েটির পিছু নিয়ে জোর করে তার বাড়িতে ঢুকে যৌন হেনস্তা করেন তরুণ। সে সময় দ্বিতীয় অভিযুক্ত বাড়ির বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
মেয়ের পরিবারে অভিযোগের ভিত্তিতে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উভয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছিল। সেই মামলা শুনানি ছিল বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি জিএ সানপের বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৪ (ডি) ধারায় এক বার কোনও মেয়ের পিছু নেওয়া স্টকিং বা ‘অবৈধ নজরদারি’র বলা যায় না। দীর্ঘ সময় ধরে বার বার এই কাজ হলে তবেই ‘নজরদারি’ বলে গণ্য হয়।
এই মামলার মূল অভিযুক্তকে যৌন হেনস্থার দায়ে আইপিসির ৩৫৪ (এ) এবং পকসো আইনের ৪ নং ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে অপর তরুণকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।