সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতীয় সময় রবিবার রাতেই জিয়ামেনে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদ্য ডোকলাম ইস্যুতের চিনের সঙ্গে সংঘাত মিটেছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিকস সম্মেলনকে হাতিয়ার করে সদস্য দেশগুলির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে ভারত। বস্তুত, দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলন শেষে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোকলাম পর্বের পর এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
[পাকিস্তান নিয়ে আলোচনা নয় ব্রিকসে, সাফ কথা চিনের]
এদিন জিয়ামেনে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দু’দিনে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়া, ব্রাজিল-সহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল টেমের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, এদিন ব্রিকসের বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠক ও সাইনিং সেরিমানিতেও হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবারই জিয়ামেনে অনুষ্ঠিত হবে ব্রিকসের প্লেনারি সেশন ও কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। দুটি অনুষ্ঠানেই যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ-আল-সিসি-র সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এবার ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ইজিপ্ট, মেক্সিকো, তাইল্যান্ড, তাজাকিস্তান-সহ পাঁচটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হযেছে।
[কাশ্মীর ছিনিয়ে নিতে হবে, ফের বেপরোয়া জামাত নেতা মাক্কি]
তবে এসব কিছু ছাপিয়ে গিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক। মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলনে শেষে এই বৈঠক হবে। টানা দেড় মাস ধরে ডোকলামে সেনা মোতায়েন নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছে। সম্প্রতি ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে দু’দেশ। এই প্রেক্ষাপটেই বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রসঙ্গত, ব্রিকসের মঞ্চেও সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে চিন যে পাকিস্তানের পাশেই থাকবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানের সন্ত্রাবাদ ইস্যু নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। এদিকে, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ না করলে চুপ করে বসে থাকবে না ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিকস সম্মেলনে চিনের অবস্থান যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক মহল।
The post ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট appeared first on Sangbad Pratidin.