সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলার জেরে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেল ভারত-পাক সম্পর্ক! বুধবার বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি বাতিল করা হল। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হল আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভারতে প্রবেশও নিষিদ্ধ করল ভারত। পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারকেও দেশে ফেরানো হবে। ভারতে বর্তমানে যেসমস্ত পাকিস্তানিরা রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলেও জানান বিদেশ সচিব।
পর্যটকদের উপর হামলার পরেই বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে এই বৈঠক চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছিলেন এই বৈঠকে। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ সচিব। সেখানেই তিনি জানান, পহেলগাম হামলার তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
মিসরি জানান, এই মুহূর্ত থেকে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করা হল। যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস থামাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে না। এছাড়াও অবিলম্বে বন্ধ করা হবে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত। বৈধ কারণে যাঁরা ওই পথ দিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ১মে'র মধ্যে ভারতে ফিরতে হবে। আগামী দিনে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করল ভারত। বর্তমানে যেসব পাকিস্তানিরা ভারতে রয়েছেন তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। এছাড়াও ভারত এবং পাকিস্তান-দুই দেশের হাই কমিশন থেকেই সরিয়ে নেওয়া হবে সামরিক পরামর্শদাতাদের। পাক হাইকমিশনের এই পদগুলি 'পারসোনা নন গ্রাটা' বলে ঘোষণা করল নয়াদিল্লি।
পহেলগাঁও হামলার আবহে প্রত্যেক বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ সচিব জানান, হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। তাহাউর রানার প্রত্যর্পণের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তাদের দমনে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
