সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনের হাত থেকে বাঁচতে যারা ব্রিটেনে (Britain) আশ্রয় নিতে চাইছেন, তাঁদের জন্য দেশের মাটিতে কোনও স্থান নেই। ভারতে এসে সাফ এই কথা জানিয়ে দিলেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টম টুগেনধাট। কারণ ব্রিটেনও মনে করে, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব বিচারব্যবস্থা সঠিকভাবে মেনে চলা উচিত। প্রসঙ্গত, বিশাল অঙ্কের আর্থিক তছরুপ করে ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছেন নীরব মোদি (Nirav Modi), বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya) মতোর ভারতীয় ধনকুবেররা। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীর মুখে তাঁদের নাম শোনা যায়নি।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী। দুর্নীতি দমন বিষয়ক এই সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই নীরব মোদি, বিজয় মালিয়া সংক্রান্ত প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় ব্রিটিশ মন্ত্রীকে। তবে কারোওর নাম না নিয়ে টম বলেন, “ভারত ও ব্রিটেন- দুই দেশেরই নিজস্ব বিচারব্যবস্থা রয়েছে। সকলেরই সেই ব্যবস্থা মেনে চলা দরকার। এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কোনও দেশের আইনকে ফাঁকি দিতে চেয়ে ব্রিটেনের মাটিতে আশ্রয় চাইলে তা দেওয়া হবে না।”
[আরও পড়ুন: ভাত-কাপড়ের অঙ্গীকার ভুললে চলবে না, খোরপোশ দিতেই হবে, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
কোটি কোটি টাকা ঋণখেলাপ করে ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন তিনি। তারপর ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়, নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে কোনও বাধা নেই। যদিও এখনও নানা আইনি জটে আটকে রয়েছে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-সহ একাধিক ভারতীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ২০১৬ সালে ব্রিটেনে গা ঢাকা দেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের (Kingfisher Airlines) কর্ণধার বিজয় মালিয়া। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই তাঁকে দেশে প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আইনি মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত তাঁকেও দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি।