shono
Advertisement

Bulli Bai App: মুসলিম মহিলাদের বিক্রির চক্রান্ত, ‘আফশোস নেই’, বলছে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ নির্মাতা

ধর্মীয় গোঁড়ামিই নীরজকে এই পথে ঠেলেছিল, জানাচ্ছে পুলিশ।
Posted: 02:12 PM Jan 07, 2022Updated: 02:12 PM Jan 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা‌ল ডেস্ক: শয়ে শয়ে মুসলিম মহিলার ছবি অনলাইনে আপলোড করে তাঁদের নিলামে তোলার চক্রান্তকারী ‘বুল্লি বাই’ (Bulli Bai) অ্যাপের নির্মাতা ২১ বছরের নীরজ বিষ্ণোইকে অসমের (Assam) জোড়হাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাকে জেরা করতে গিয়ে অবাক পুলিশ। দেখা গিয়েছে, নিজের কৃত কর্মের জন্য তার কোনও রকম অনুশোচনা তো নেই-ই, বরং সে মনে করে সে যা করেছে তা একদম ঠিক কাজ।

Advertisement

অসমের ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা নীরজ বি টেক দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। সে ভোপালের ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্র। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করার পর ওইদিনই আদালতে তোলা হয়। তাকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

[আরও পড়ুন: লাদাখ সীমান্তে সেনা পাঠাতে প্যাংগং লেকে সেতু বানিয়ে ফেলেছে চিন, স্বীকার করল কেন্দ্র]

নীরজকে জেরা করে এবং ইন্টারনেটে তার পুরনো সব মন্তব্যকে বিশ্লেষণ করে পুলিশ বুঝতে পেরেছে ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণেই সে সম্পূর্ণ দিগভ্রষ্ট হয়েছে। প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট ‘কোরা’-তে বিভিন্ন সময়ে সে যে ধরনের কথা বলেছে তাতে ধর্মান্ধতার দিকটিই প্রকট হচ্ছে। তাকে এমন খোঁচাও মারতে দেখা গিয়েছে যে, হিন্দু ধর্মেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা বলে, যেটা অন্য ধর্ম বলে না।

মিশনারিগুলিকে আক্রমণ করে সে দাবি করেছেন, মিশনারিগুলি অনেক সময় দুস্থ মানুষকে সাহায্য করে বটে। কিন্তু তার বিনিময়ে সেই মানুষদের থেকে অনেক ফায়দাও নেয়। এমনকী, সেই লোকগুলিকে গোমাংস খাইয়ে দেয়, যাতে তারা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে না পারে। অন্যান্য ধর্মকে কটাক্ষ করে হিন্দু ধর্মের জয়গান গাওয়ার পাশাপাশি এমনকী সানি লিওনিকে নিয়েও মন্তব্য করেছে নীরজ। তার মতে, সানির বেড়ে ওঠার সময় পারিবারিক পরিবেশ খারাপ থাকায় তাঁর বড় হয়ে ওঠাতেই সমস্যা ছিল। আর সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত তাঁকে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে হয়েছিল।

[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ত্রিপুরায় নিহত তৃণমূল নেতাকে শেষশ্রদ্ধা ব্রাত্য-রাজীবদের, শামিল বিক্ষুব্ধ ২ বিজেপি নেতাও]

জানা গিয়েছে, শ্রীভগবদগীতা পড়তে খুব ভালবাসে সে। সে মনে করে গীতা পড়তে গেলে হিন্দু হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত গীতাপাঠ করা। তবে সে মুখে এই ধরনের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ঘৃণ্য চক্রান্তে জড়িয়ে পড়ে। তার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই তাকে ধরিয়ে দিয়েছে। টুইটারে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সে মুম্বই পুলিশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি‌ল, এখনও পর্যন্ত এই অ্যাপ কাণ্ডে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা নিরপরাধ। সে-ই এই অ্যাপের পিছনে থাকা আসল মাথা। তবে সে হয়তো ভাবতে পারেনি, একদিনের মধ্যেই পুলিশের জালে ফাঁসতে হবে তাকেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement