সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। ব্রিজের রেলিং ভেঙে নর্মদা নদীতে পড়ে গেল পুনেগামী (Pune) একটি বাস। মারা গিয়েছেন অন্তত ১৩ জন যাত্রী। উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ জনকে। এখনও আটকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
মহারাষ্ট্রের (Maharshtra) এক সরকারি বাস যাত্রী বোঝাই করে ইন্দোর থেকে রওনা হয়ে পুনের উদ্দেশে যাচ্ছিল। মাঝে মধ্যপ্রদেশের খালঘাট অঞ্চলের একটি ব্রিজের রেলিং ভেঙে বাসটি পড়ে যায় নর্মদা নদীতে। শোনা যাচ্ছে, রাস্তা পিছল থাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ব্রিজের রেলিং ভেঙে নিচে নদীতে পড়ে যায়। নর্মদা নদীর উপরে তৈরি ওই ব্রিজের উচ্চতা ছিল প্রায় ১০০ ফুট। যার ফলে সম্পূর্ণভাবে নদীতে ডুবে যায় বাসটি। জানা গিয়েছে, বাসটিতে মোট যাত্রী ছিল প্রায় ৫০ জন।
[আরও পড়ুন: গান্ধীজির চেয়ে কম নন সাভারকর, সংস্কৃতি মন্ত্রকের পত্রিকা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক]
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Sing Chouhan) একটি টুইট করে জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বাসটিকেও তোলা হয়েছে নদী থেকে। আমি নিজে খারগোন,ধর জেলার প্রশাসনকে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছি। আহতদের ঠিকমতো চিকিৎসা করানোর দিকেও নজর দিতে বলেছি।”
[আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই চালকের চোখে ঘুম, দুর্ঘটনা রুখতে গাড়িতে ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ যন্ত্র!]
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা না গেলেও মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রর মতে, বাসটির ব্রেক ফেল হয়েছিল বা স্টিয়ারিং এর কোনও সমস্যা ছিল। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।