সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খবরে আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। এবার দাউদ সংযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড হল শিল্পপতি জেএম জোশী-সহ (JM Joshi) ৩ জনের। অভিযোগ উঠেছিল, জোশী এবং অন্য তিন অভিযুক্ত কুড়ি বছর আগে পাকিস্তানে (Pakistan) গুটখার ব্যবসা করতে গ্যাংস্টার দাউদকে সাহায্য করেছিলেন। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল মুম্বইয়ের (Mumbai) বিশেষ আদালত (Special Court)।
জে এম জে (JMJ) গোষ্ঠীর কর্ণধার শিল্পপতি জোশী। ভারতে অন্যতম বড় গুটখা ব্যবসায়ী। গুটখা ছাড়াও পানমশলা এবং তামাকজাতীয় দ্রব্য উৎপাদন করে তাঁর সংস্থা। সেই যোশীর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই (CBI)। সেখানে বলা হয়েছে, জে এম জোশী এবং শিল্পপতি রসিকলাল ধারিওয়ালের মধ্যে একটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছিল। এর পরেই তাঁরা সেই সমস্যা মেটাতে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর বদলে পাকিস্তানের গুটখার ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য চায় দাউদ। অভিযোগ, ২০০২ সালে করাচিতে গুটখার কারখানা গড়ে তুলতে কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে যাবতীয় সাহায্য করেছিলেন জোশীরা।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কাটল অন্ধকার, বিদ্যুৎ পৌঁছাল কাশ্মীরের এই গ্রামে]
উল্লেখ্য, এই মামলায় জে এম জোশী, শিল্পপতি রসিকলাল ধারিওয়াল ছাড়াও জমিরুদ্দিন আনসারি এবং ফারুক মনসুরির নাম জড়িয়েছিল। সিবিআই দাবি করেছে, জোশীদের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের স্বার্থের সম্পর্ক ছিল। যাতে উভয়েই লাভবান হত। যদিও প্রথম থেকেই সেই দাবি মানতে চাননি জোশী এবং অন্যরা। যদিও এদিন তিন জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। উল্লেখ্য, আদালতে শুনানি চলাকালীন মৃত্যু হয় ধারিওয়ালের। ফলে শাস্তি হল জে এম জোশী, জমিরুদ্দিন এবং ফারুকের। সোমবার বিশেষ আদালতের বিচারক বিডি শেলকে এই সাজা ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লি দুর্ঘটনায় মৃত অঞ্জলির বাড়িতে চুরি! প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, অভিযোগ পরিবারের]
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসেও খবরে আসে দাউদ। ভারতে ‘ডি-কোম্পানি’র (D-Company) হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো ব্যক্তিদের হাওয়ালার মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছিল পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। এমনটা জানা যায়। যদিও ওই অভিযুক্তরা বর্তমানে এনআইএ (NIA) হেফাজতে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।