shono
Advertisement

Cattle Smuggling Case: আগামী ২৪ ঘণ্টা সায়গলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, ইডিকে নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের

আপাতত স্বস্তিতে অনুব্রত দেহরক্ষী।
Posted: 11:49 AM Oct 18, 2022Updated: 12:00 PM Oct 18, 2022

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আগামী ২৪ ঘণ্টা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার সকালে একথা জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। অর্থাৎ আগামী ২৪ ঘণ্টায় সায়গলকে দিল্লি আনতে পারবেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে সাময়িক স্বস্তি পেলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী। 

Advertisement

গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle smuggling case) দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। সেদিনই দফায় দফায় জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির নয়া কোর কমিটি গড়লেন নাড্ডা, নতুন দায়িত্বে মিঠুন, লকেট, অগ্নিমিত্রা, রাহুল]

এর মধ্যেই আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি প্রসঙ্গে সায়গলকে জেরা করতে শুরু করে ইডি (Enforcement Directorate)। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর সায়গলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকেই তাঁকে দিল্লিতে এনে জেরা করতে চাইছে ইডি। আসানসোল আদালত, কলকাতা হাই কোর্টে সেই আবেদন খারিজ হলেও সোমবার দিল্লির আদালতে সায়গলকে দিল্লিতে আনার অনুমতি দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পালটা দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গলের আইনজীবী।

জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার রাতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গলের আইনজীবী। সেই আরজি গ্রহণ করেছে উচ্চ আদালত। বুধবার শুনানি। তার আগে পর্যন্ত সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দিল্লি হাই কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইডিকে।

[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামীকে তলব CBIয়ের]

২০২০ সাল থেকেই গরু পাচার মামলায় তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সে বছরই এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে তিহার জেলেই ঠাঁই হয়েছে তার। এনামুলের সঙ্গে সায়গলের প্রত্যক্ষ যোগসাজশের প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। এরপরই গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে আসে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তাঁকে জেরা করলে এই মামলার আর্থিক লেনদেনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement