সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির পর এবার সিবিআই। বুধবার সকালে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জানা যাচ্ছে, মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ মামলায় এই তল্লাশি অভিযান সিবিআই-এর। বাঘেলের পাশাপাশি এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করেছে এজেন্সি। সাতসকালে এজেন্সির এই হানাদারির তথ্য সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এনেছেন বাঘেল নিজেই। ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি বাংলাতেও এই মামলায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই।

জানা গিয়েছে, দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল বাঘেলের। তবে তিনি রওনা দেওয়ার আগেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এজেন্সি। তথ্য প্রকাশ করে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 'এবার সিবিআই এসেছে। আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল গুজরাটের আহমেদাবাদে কগ্রেস কমিটির বৈঠকের আগে আজ দিল্লিতে 'ড্রাফটিং কমিটি'র বৈঠক রয়েছে। সেখানে যাওয়ার কথা ছিল বাঘেলের। তার আগেই সিবিআই রায়পুর ও ভিলাইয়ে হাজির হয়েছে।'
তদন্তকারীদের তরফে জানা যাচ্ছে, ছত্তিশগড়ের মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি অভিযান সিবিআইয়ের। চলতি মাসেই এই মামলার তদন্তে নেমে বেআইনি ভাবে আয় করা ৫৮০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এই মামলায় ছত্তিশগড়ের একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আমলা যুক্ত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ছত্তিশগড় ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই ও দিল্লির ১৫ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় একাধিক ভিভিআইপি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বলিউড অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিতর্কিত সেই বেটিং অ্যাপ মামলার তদন্তে নেমেই এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
তবে শুধু বেটিং অ্যাপ মামলা নয়, আবগারি দুর্নীতি মামলাতেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১০ মার্চ এই মামলার তদন্তে নেমে ভিলাইয়ে ভূপেশ ও তাঁর ছেলে চৈতন্যের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর আগেও এই মামলায় ছত্তিশগড়ের বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিক ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আবগারি ক্ষেত্রে ২১০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ নয়ছয় হয়েছে। এবং সেই টাকা আবগারি চক্রের সুবিধাভোগীদের নিজেদের পকেটে ভরেছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য নেতা, সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি ভূপেশ ও তাঁর ছেলেও যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ ইডি আধিকারিকদের।