সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তাল মধ্যপ্রদেশ৷ মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে পাঁচ কৃষকের মৃত্যুর পর বুধবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মান্দসৌর জেলায়৷ আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে মান্দসৌরে এসে ভাল শস্য উৎপাদন, দুধের উপযুক্ত দাম ও বকেয়া ঋণ মকুবের আশ্বাস দিতে হবে৷
[কৃষক আন্দোলনের জেরে রণক্ষেত্র মান্দসৌর, পুলিশের গুলিতে হত ৫]
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ কৃষকদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর অভিযোগের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়্ডু৷ কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ” মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের ক্ষোভের অবিলম্বে সমাধান কী করে দাবি করে কংগ্রেস? কংগ্রেস কি কর্নাটকের কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে?”
বেঙ্কাইয়া নায়্ডুর আরও অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের জঙ্গি ধাঁচের আন্দোলনের পিছনে কংগ্রেস দুরভিসন্ধি রয়েছে৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, “কংগ্রেসকে আমি সতর্ক করে দিতে চাই, হিংসায় ইন্ধন জোগাবেন না৷ নইলে তা ব্যুমেরাং হয়ে আছড়ে পড়বে আপনাদের বিরুদ্ধেই৷ কৃষকদের দুরাবস্থার জন্য ইউপিএ সরকারের জমানার বঞ্চনাই দায়ী৷ কৃষক আন্দোলনকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করছে কংগ্রেস৷” বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার দাবি, মধ্যপ্রদেশে সব খাতে উন্নয়ন করে চলেছে৷ এমনকী, শিবরাজ সিং চৌহান বিজেপির অন্যতম সেরা মুখ্যমন্ত্রী৷
মান্দসৌরের ঘটনায় কংগ্রেস সাংসদ কমল নাথের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, “এই ঘটনার দায় গ্রহণ করে পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর৷” জেডি (ইউ) নেতা শরদ যাদব বলেছেন, “আমি রাহুলজির সঙ্গে কথা বলেছি৷ আমরা দু’জনেই আগামিকাল মান্দসৌরে যাচ্ছি৷” তাঁর দাবি, পুলিশ মৃতের সংখ্যা কমিয়ে ৪-৫ জন দেখাচ্ছে৷ আসলে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি এই কথা বলেছেন৷
মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি প্রভাত ঝা জানিয়েছেন, পাঁচ কৃষকের মৃত্যুতে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে কোনও খাবার মুখে তোলেননি৷ বুধবারও অন্তত ৮-১০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা৷ নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন৷