সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। গোটা দেশে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলো কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো কতটা সুরক্ষিত তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, দেশে এই মুহূর্তে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের সংখ্যা ২৯। এই সুড়ঙ্গগুলোর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৯ কিলোমিটার। এই টানেলগুলো কী অবস্থায় রয়েছে, শ্রমিকদের জন্য কতটা নিরাপদ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখবে এনএইচএআই (NHAI)। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলোর নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবে ন্যাশানাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি মেট্রোর একটি বিশেষজ্ঞ দল। প্রতিটি সুড়ঙ্গে পৌঁছে সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে তারাও। জানা গিয়েছে, সমস্ত পরিস্থিতি দেখে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আরও ছড়াতে পারে হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের আগুন! জি-২০ মঞ্চে উদ্বেগ প্রকাশ মোদির]
বলে রাখা ভালো, মোট ২৯টি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের (Tunnel) মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশেই রয়েছে ১২টি। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরে ছটি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থানে দুটি করে এবং মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লিতে একটি করে সুড়ঙ্গের কাজ চলছে। ফলে আগামিদিনে এইরকম বিপর্যয় যাতে আর না ঘটে কিংবা আচমকা কোনও সুড়ঙ্গে ধস নামলে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় সেই জন্যই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উত্তরকাশীর (Uttar Kashi) সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নামে। আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। টানা ১২ দিন ধরে সেখানেই আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা।