সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজনৈতিক ডামাডোল অব্যাহত। একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরনকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছে চম্পাই সোরেনের (Champai Soren) নাম। বৃহস্পতিবার তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ‘অপারেশন লোটাস’ ঠেকাতে রাজ্যের শাসক দলের বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় বিমান।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি, বিধায়কদের বাসে করে রাঁচি বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই বিমানে হায়দরাবাদ উড়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। আর এই পুরো বিষয়টিতেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ‘সিংভূমের টাইগার’ সোরেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দৃশ্যমানতার অভাবে বিমান বাতিল হয়ে যায়। ফলে বিমানবন্দর থেকেই ফিরে আসতে হয় ৪৩ বিধায়ককে। যার জেরে নয়া সরকার গঠন নিয়ে ডামাডোল আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, দেশের যে মাত্র তিনটি রাজ্যে কংগ্রেসের প্রশাসন রয়েছে, তারই অন্যতম তেলেঙ্গানা। কোনও ভাবেই বিজেপি যাতে কাউকে ‘অপহরণ’ করতে না পারে সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস প্রধান রাজেশ ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ”আমরা বিমানবন্দরে যাচ্ছি। আপনারা তো জানেন ওরা (বিজেপি) কেমন… যে কোনও সময় যা খুশি করে ফেলতে পারে। সব মিলিয়ে ৪৩ জন আমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন।” কিন্তু শেষমেশ সে চেষ্টা বিফলে গেল চম্পাই শিবিরের।
[আরও পড়ুন: ‘বাইডেন ও ট্রাম্প খিটখিটে বুড়ো’, দুই মার্কিন রাষ্ট্রনেতার বয়স নিয়ে খোঁচা নিকি হ্যালির]
এদিকে সরকার গঠনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী চম্পাই সোরেন। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণনের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। পরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা আবেদন করেছি যাতে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। উনি আশ্বস্ত করেছেন শিগগিরি তা শুরু হয়ে যাবে। আমরা আমাদের সমর্থনে থাকা ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থনের কথা জানিয়েছি। আশা, সংখ্যাটা বেড়ে ৪৬-৪৭ হবে। সুতরাং সমস্যা হবে না। আমাদের ‘গঠবন্ধন’ খুবই মজবুত হবে।”