সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ভারতে ঢুকে পড়ল এইচএমপিভি। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর একটি শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। হাসপাতালে ভর্তি ছিল আক্রান্ত ৮ মাস বয়সি শিশুটি। বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবেই ওই শিশুটির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার দেহের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েই এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া যায়।যদিও ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বহু বছর আগেও দেশে এইচএমপিভি পাওয়া গিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১১ বছরের কম বয়সিদের মধ্যেই সাধারণত দেখা যায় এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটানিউরোভাইরাস। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ০.৭ শতাংশের দেহে থাকে এইচএমপিভি। কিন্তু সম্প্রতি এই ভাইরাসের কোন প্রজাতি চিনে দাপট দেখাচ্ছে, সেই নিয়ে অন্ধকারে কর্নাটকের স্বাস্থ্য দপ্তর। তাদের মতে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট পেলেও এইচএমপিভির অস্তিত্ব নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু এইচএমপিভির কোন ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুটির দেহে, সেটা এখনও অজানা।
উল্লেখ্য, রবিবারই HMPV-র দাপটের কথা উল্লেখ করে কেরল সরকারের তরফে জনতার উদ্দেশে পরামর্শ দেওয়া হয়, আতঙ্ক ছড়াবেন না। তবে বাড়ির বাইরে যেতে মাস্ক ব্যবহার করুন। বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে অন্তঃসত্ত্বা ও বয়স্ক নাগরিকদের। তেলেঙ্গানাতেও একই সতর্কতা জারি হয়। যদিও শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে যে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই কেরলের প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকে মিলল ভয় ধরানো চিনা ভাইরাসের হদিশ। যদিও সেরাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, নাগরিকদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা লাফিয়ে বাড়েনি সাম্প্রতিককালে।
HMPV নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। শনিবার HMPV ভাইরাস নিয়ে জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপের বৈঠক ডাকা হয় মন্ত্রকের তরফে। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলে, 'WHO-র তরফে যা খবর মিলছে, সেদিকে কড়া নজর রাখছেন আধিকারিকরা। আগামী দিনে কোনও বিপদ আসতে পারে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত দেশ, এমনটাও জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।