সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন (China) সীমান্তে লাগাতার সংঘাত চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে ভারত (India) এবং চিনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার মাটিতে আরও তিনটি দেশের সঙ্গে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত এবং চিন ছাড়াও রাশিয়া (Russia), বেলারুশ এবং তাজিকিস্তান এই মহড়ায় অংশ নেবে।
চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কৌশলগত ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই মহড়া। তাছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াবে এই মহড়া।” একই সঙ্গে চিনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নানা দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে অনেক বারই এহেন মহড়ায় (Military Exercise) অংশ নিয়েছে ভারত-সহ নানা দেশ।
[আরও পড়ুন: ‘সাভারকারকে সম্মানিত করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীও’, কংগ্রসকে খোঁচা ইতিহাসবিদের]
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে গোটা বিশ্বের নিন্দার মুখে পড়েছিল রাশিয়া। কিন্তু সেই সময়েও রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছিল চিন। এহেন পরিস্থিতিতে দুই দেশের যৌথ মহড়া ঘিরে বিতর্ক সূত্রপাত হতেই পারে। সেই কারণেই চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সঙ্গে এই মহড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। মহড়ার সঙ্গে আঞ্চলিক সমস্যারও কোনও যোগসূত্র নেই।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী যৌথ মহড়া চালিয়েছে।
২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে লাদাখ সীমান্তের সমস্যাও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। বারংবার বৈঠকে বসেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় জাহাজ পাঠিয়ে ভারতের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে চিন, এমন অভিযোগও উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতে দুই দেশের যৌথ মহড়ার দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।