সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজব দাবি করল কেন্দ্র। সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি জানান, তথ্যের অধিকার আইনে রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান তথা নির্বাচনী বন্ডের উৎস জানার অধিকার নেই আমজনতার। অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি দেন, সংবিধান সবকিছু জানার অধিকার দেয় না জনতাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত গোপনীয়তার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মামলা উঠেছিল। এর পর তা বৃহত্তরও বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেই মতো ৩১ অক্টোবরে শুরু হবে শুনানি। প্রয়োজনে ১ নভেম্বরও শুনানি হতে পারে। যদিও তার আগে সোমবার আদালতকে বিশেষ বার্তা দিল কেন্দ্র। অ্যাটর্নি জেনারেলের এদিনের বক্তব্য স্পষ্ট, শীর্ষ আদালত এই মামলায় ‘নাক গলাক’ চায় না কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ঝুলছে CBI খাঁড়া! ‘সুপ্রিম কবচ’ পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারি]
এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, যে নির্বাচনী বন্ড স্কিম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেটি অনুদানদাতাকে গোপনীয়তার সুরক্ষা দেয়। স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি করদানের যাবতীয় বাধ্যবাধকতা মেনে চলে। এই পদ্ধতি কোনওরকম আইনি অধিকারকে লঙ্ঘন করে না বলেই মত ভেঙ্কটরামানির।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের জেহাদিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক, এবার খুন উত্তরপ্রদেশের যুবক]
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে। এর ফল গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি।