সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষ থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে উত্তর ভারতে (North India)। শনিবার রাজস্থানের কিছু এলাকায় হিমাঙ্কের নিচে নামে তাপমাত্রা। বারবার শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে সতর্কও করে মৌসম ভবন। বিশেষত দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে ভয়ংকর শীত ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। এমনকী মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। শুধু উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুর (Kanpur) শহরে প্রবল ঠান্ডায় হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attck) হয়ে প্রাণ গিয়েছে ৯৮ জনের। কানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক সপ্তাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে ভরতি হয়েছেন ৭২৩ জন। এদের অনেকেই ঘরে ফেরেননি।
কানপুর শহরের পরিচিত বেসরকারি হাসপাতাল এল পি এস ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি শৈত্যপ্রবাহে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়েছে। তা থেকে জানা গিয়েছে, পাঁচদিনে যে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কানপুরে তাঁদের মধ্যে ৪৪ জন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। বাকি ৫৪ জন চিকিৎসাটুকুও পাননি। প্রচণ্ড ঠান্ডায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার ১৪ জন মারা গিয়েছেন ওই হাসপাতালে। এঁদের মধ্যে ছ’জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। আট জনকে হাসপাতালে আনা হয় মৃত অবস্থাতেই।
[আরও পড়ুন: দাউদকে গুটখার ব্যবসায় সাহায্য! শিল্পপতি-সহ তিন জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড]
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের আরেক হাসপাতালে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ওই হাসপাতালে বর্তমানে ভরতি রয়েছেন ৬০৪ জন। এদের মধ্যে ৫৪ জনকে গত কয়েক দিনে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতালে এক চিকিৎসক জানান, তীব্র শীতে কেবল প্রবীণরাই অসুস্থ হচ্ছেন এমন নয়, সতেরো-আঠেরো বছর বয়সিরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ, উষ্ণ থাকার ব্যবস্থ করতে হবে, যতটা সম্ভব ঘরের ভিতরে থাকত হবে।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কাটল অন্ধকার, বিদ্যুৎ পৌঁছাল কাশ্মীরের এই গ্রামে]
প্রসঙ্গত, একদিকে ঠান্ডায় যেমন জবুথবু উত্তর ভারত। তেমনই ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতার সমস্যায় ট্রেন, বাস, বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শনি ও রবিবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে (Delhi Airport) অসংখ্য বিমান বাতিল হয়েছে। সোমবার সকালে ঘন কুয়াশার কারণে উন্নাওয়ের কাছে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় ৪ জন নিহত হয়েছেন।