সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) সরকারি গণবিবাহের নয়া বিতর্ক। বিয়ের আগে প্রত্যেক কনেকে কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি প্রকল্পের আওতায় এদিন গণবিবাহ ছিল রাজ্যের ঝাবুয়া জেলায়। সেখানেই প্রত্যেক কনেকে একটি করে মেকআপ বক্স উপহার দেন সরকারি আধিকারিকরা। তাতে সাজগোজের সরঞ্জামের পাশাপাশি ছিল কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, কনেদের ওষুধ এবং কনডোম দেওয়া হয়েছে বটে, তবে এই বিষয়ে তাদের কোনও ধারণা নেই।
শিবরাজ সিংহ চৌহান (Shivraj Singh Chauhan) সরকারের আমলে মধ্যপ্রদেশে শুরু হয়েছে গণবিবাহ প্রকল্প ‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা’। মূলত অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির তরুণ তরুণীদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় এই প্রকল্পের আওতায়। যাবতীয় খরচ বহন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিয়ের জন্য আগেভাগে নাম নথিভুক্ত করাতে হয়। পরিবারের তরফে পাত্রপাত্রী স্থির করা হয়। ঝাবুয়া জেলার থাণ্ডালাতে ২৯৬ যুগলের বিবাহ হয় সোমবার। সরকারি কর্মীরা প্রত্যেকে কনেকে একটি করে মেকআপ বক্স দেন। ওই মেকআপ বক্সে সাজগোজের সরঞ্জামের পাশপাশি ছিল কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ।
[আরও পড়ুন: পরপর চিতামৃত্যু! উদ্বিগ্ন কেন্দ্র নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠাচ্ছে সরকারি দল]
অভিযোগ ওঠার পরেই জেলা প্রশাসন কর্তারা এই ঘটনার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে দায়ী করেছে। জেলার প্রশাসনের এক আধিকারিক ভুরসিং রাওয়াত দাবি করেন, এটা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ। সম্ভবত তারাই পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতন করতে কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করেছে। রাওয়াত বলেন, “আমরা ওই কাজ করিনি। সম্ভবত পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতন করতে এই কাজ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা’য় প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৪৯ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। খাবার, জল এবং অস্থায়ী তাবুর ব্যবস্থা কর থাকি আমরা। খরচ পড়েছে ৬ হাজার টাকা। যুগলদের দেওয়া প্যাকেটে কী ছিল আমাদের জানা নেই।”
[আরও পড়ুন: দুর্যোগে ভেঙেছে উজ্জয়নীর মহাকাল মন্দির চত্বরের মূর্তি, দুর্নীতির প্রশ্নে বিজেপি-কংগ্রেস তরজা]
প্রসঙ্গত, এর আগে মধ্যপ্রদেশের গণবিবাহ নিয়ে অভিযোগ ওঠে যে বিয়ের আগে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কি না। বেশ কয়েক জন তরুণী সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। এর পর তাঁদের বিয়ে বাতিল করা হয়। মধ্যপ্রদেশ সরকারের গণবিবাহ/ নিকাহ যোজনায় এমন পরীক্ষার আদৌ নিয়ম নেই। এই কারণে বিয়ে বাতিলের ঘটনাও আগে ঘটেনি। ফলে রাজ্যজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল।