সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দিরার জরুরি অবস্থা থেকে রাজীবের শাহ বানো মামলা। নেহেরুর ৩৭০ ধারা থেকে সোনিয়ার ন্যশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি। সংসদে সংবিধান দিবসের জবাবি ভাষণে প্রজন্ম ধরে ধরে গান্ধী পরিবারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, "সংবিধান সংসদে গৃহীত হওয়ার পর ৭৫ বছরে ৫৫ বছরই রাজত্ব করেছে একটা পরিবার। কংগ্রেসের সেই পরিবার সংবিধানকে আঘাত করার কোনও সুযোগ ছাড়েনি।"
নেহেরু থেকে শুরু করে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রধান পরিবারের সব প্রজন্মকে এদিন নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বললেন, "৭৫ বছরে অন্তত ৭৫ বার সংবিধানকে রক্তাক্ত করেছে কংগ্রেস। সেই কু-বিচার, কু-নীতির প্রভাব আজও রয়েছে। দেশকে আজও ভুগতে হচ্ছে। এই পাপ কোনওদিন মোছা যাবে না।"
এর পরই সরসরি প্রধানমন্ত্রী চলে আসেন নেহরু জমানায়। মোদির বক্তব্য, "সংবিধান বাধা হলেই বদলে দিতেন নেহেরু। সংবিধান বদলের এই রীতি শুরু হয়েছিল নেহেরু জমানাতেই।" মোদির দাবি, আজ কাশ্মীরের যে অবস্থা সেটা এড়ানো যেত, যদি না সংবিধানে ৩৭০ ধারা যোগ করা হত। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, সেসময় দেশের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে ছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি নেহেরু। এমনকী সংরক্ষণেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এর পর প্রধানমন্ত্রী আসেন ইন্দিরা জমানায়। মোদির অভিযোগ, "একটি পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গোটা দেশ জেলখানায় পরিণত হয়েছিল। সেই দাগ কোনওদিন ধুয়ে দিতে পারবে না কংগ্রেস।"
রাজীব জমানা প্রসঙ্গে মোদির বক্তব্য, "শাহ বানো মামলায় সংবিধানের আত্মায় আঘাত করেন রাজীব।" মনোমোহন জমানাকে অবশ্য তিনি বকলমে সোনিয়া গান্ধীর শাসন হিসাবেই তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, মনমোহন সিং গান্ধী পরিবারকেই 'পাওয়ার সেন্টার' হিসাবে মেনে চলতেন। সোনিয়া যে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটি গড়েছিলেন, সেটাও আসলে সংবিধানে আঘাত।" প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, "এক পরিবারের কু-নীতি কু-বিচারের প্রভাব চিরস্থায়ী। সেটার জন্য আজও ভুগতে হচ্ছে দেশকে।"