সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে একুশের মঞ্চ থেকে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। আর এই বিষয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাবও দিল হাত শিবির।
বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো আক্রমণাত্মক সুরে কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়, 'বিজেপি তার সর্বনিম্ন স্তরে এসে পৌঁছেছে! দেশজুড়ে তাদের সরকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক ও হকার-ব্যবসায়ী, বিশেষত মালদা ও মুর্শিদাবাদের, তাদের টার্গেট করছে। তাদের মারধর, নিগ্রহ, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে 'বেআইনি অভিবাসী' বলে দেগে দিয়ে। এটা সংবিধানের ১৯(১) ধারায় প্রত্যেক ভারতীয়কে স্বাধীনভাবে চলাফেরা, বসবাস এবং কাজ করার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটার উপরে সরাসরি আক্রমণ। দেশের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও অনৈক্য সৃষ্টির কোনও কসুর করছে না বিজেপি।' সেই সঙ্গেই ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি অবিচারের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিও জানানো হয়েছে ওই পোস্টে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চলছে। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা বিরোধী সার্কুলার পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই সার্কুলারের কপি সভামঞ্চে তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার দাবি, এই সার্কুলারে বলা আছে স্রেফ সন্দেহের বশে মানুষকে একমাসের জন্য আটকে রাখা যাবে। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ ছিল, “এক হাজারের উপর মানুষকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে।” একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার দেন, “কে কোন ভাষায় কথা বলবে, কে কী খাবে, তা নিয়েও বলে দেবে! জেনে রাখবেন, এখানে সবার অধিকার রক্ষিত হবে।” মমতার শ্লেষ, “বাংলা ভাষায় নাকি কথা বলা যাবে না। কে মাছ খাবে, কে ডিম খাবে ঠিক করে দেবে?” এবার সেই একই অভিযোগ তুলে সরব হল কংগ্রেসও।
