সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কংগ্রেস নেতার পূর্বসূরিদের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মনে করিয়ে দিলেন, শিখ দাঙ্গা এবং জরুরি অবস্থা আজও ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর কালো দাগ। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাঁচাতে আজ সব বিরোধী একমঞ্চে।
আসলে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিলের পর থেকেই কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা নিশানা করছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, মোদি জমানায় গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত, বাক স্বাধীনতা সোনার পাথর বাটি। মোদি যেন এদিন বোঝাতে চাইলেন, গণতন্ত্রের উপর এই আক্রমণ কংগ্রেসেরই সংস্কৃতি। আর সেগুলি রাহুল গান্ধীর পূর্বসূরিরাই শিখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ১৯৮৪’র কালো অধ্যায় দেশ কোনওদিন ভুলবে না। কংগ্রেস (Congress) আমাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু তখন আমরা অন্যদের দোষ না দিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! রাজস্থানে একদিন আড়াই হাজার দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার, ২২৮ জন দাগি অপরাধী]
মোদির দাবি, এই মুহূর্তে গোটা দেশে বিজেপিই একমাত্র প্রকৃত সর্বভারতীয় দল, পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র প্রভাব রয়েছে বিজেপির। উত্তর-পূর্বের সব রাজ্য থেকে দক্ষিণে কর্ণাটকে (Karnataka) পর্যন্ত বৃহত্তম দল বিজেপিই। এই লড়াই অক্লান্ত, চিরস্থায়ী। আমরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বিজেপিই এখন দেশের সবচেয়ে বড় ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা দল।
[আরও পড়ুন: ফের শেয়ার বাজারে ধাক্কা, এবার আদানি গোষ্ঠীর সবক’টি শেয়ারে ধস নামল]
দিল্লিতে বিজেপির (BJP) নতুন দপ্তরের উদ্বোধন মঞ্চের ভাষণে সরাসরি রাহুলের নাম না নিলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির দাবি, আজ কোনও এজেন্সি কোনও ব্যবস্থা নিলে প্রশ্ন তোলা হয়। কোনও আদালত রায় দিলে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, কয়েকটা দল কেমন দুর্নীতিবাজ বাঁচাও অভিযান করছে।”