সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে বিপাকে সিবিআইয়ের বিশেষ ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা। এক এফআইআর-এ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আস্তানাকে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছে। তাঁর নাম ছাড়াও ওই এফআইআর-এ সিবিআই-এর বিশেষ ডিরেক্টর সমন্ত কুমার গয়ালেরও নাম উল্লেখ রয়েছে।সিবিআইয়ের দাবি, মইন কুরেশি দুর্নীতির ঘটনায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিলেন আস্তানা। ঘুষ নিয়েওছিলেন। ঘটনার তথ্যপ্রমাণ হিসাবে টেলিফোনে তাঁর কথোপকথন এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদানপ্রদানের অংশবিশেষ ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দিয়েছে এসবিআই। প্রসঙ্গত মইন কুরেশি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে মনোজ প্রসাদ নামে দুবাইয়ের এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন আস্তানা। এরপরই আস্তানার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে তারা। পদাধিকার বলে সিবিআইয়ের দু’নম্বর পদে আছেন রাকেশ আস্তানা। অথচ ঘুষকাণ্ডে তিনিই এখন এক নম্বর অভিযুক্ত।
[সিধুর পদত্যাগ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলার দাবিতে সরব অকালি দল]
দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারীর অভ্যন্তরের এই টানাপোড়েন রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সংস্থার উপর সব গুরুত্বপূর্ণ মামলার ভার সেই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই যে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। রবিবারই সিবিআইয়ের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[বন্ধ ৪০০ পেট্রল পাম্প, জনতার হয়রানির জন্য বিজেপিকেই দুষছেন কেজরি]
আসরে নেমেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। কিছুদিন আগেই রাকেশ আস্তানাকে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে দাবি করেছিলেন রাহুল। একটি টুইটে রাহুল মন্তব্য করেন, আস্তানা মোদির ব্লু-আইড-বয়। সেই আস্তানার বিরুদ্ধেই এবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠাই রীতিমতো আক্রমণাত্মক কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, সিবিআই এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অস্ত্র। সিবিআইকে এখন নিজের সঙ্গেই লড়াই করতে হচ্ছে।