সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন কংগ্রেস নেতা সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhwinder Singh Sukhu)। রবিবার শিমলায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকর। একই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
দীর্ঘদিন বাদে কোনও একটি নির্বাচনে সাফল্য। সেই সাফল্যের স্বাদ গোষ্ঠীকোন্দলের জটিল অঙ্কে ফিকে করে দিতে চায় না কংগ্রেস। সম্ভবত সেকারণেই হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের মঞ্চে ঐক্যের বার্তা দিলেন সুখবিন্দর সিং সুখু। এদিন শপথের মঞ্চে বড় করে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছবি লাগানো হয়। শপথ নেওয়ার আগে সেই ছবিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাকি কংগ্রেস (Congress) নেতারাও বীরভদ্রর ছবিতে মাল্যদান করেন। সেসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য সুখুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিভা সিংও। মঞ্চে প্রতিভাকে আলিঙ্গন করতেও দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।
[আরও পড়ুন: চেনাতে হবে ‘ব্যাড টাচ’ ‘গুড টাচ’, শিশুদের যৌন হেনস্তা নিয়ে বার্তা দেশের প্রধান বিচারপতির]
আসলে হিমাচলে জয়ের পরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিতে হাই কম্যান্ডের দ্বারস্থ হন প্রতিভা সিং (Pratibha Singh)। কিন্তু শনিবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী হবেন সুখবিন্দর সিং সুখু। মুখ্যমন্ত্রী পদের আরেক দাবিদার মুকেশ অগ্নিহোত্রী (Mukesh Agnihotri) হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, প্রতিভা সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংকেও উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে। এবং প্রতিভা নিজে রাজ্য সভাপতি থাকবেন। তবে, শেষপর্যন্ত বিক্রমাদিত্য সিংকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে। এদিন শপথগ্রহণের পর সুখবিন্দর সিং সুখু, মুকেশ অগ্নিহোত্রী এবং বিক্রমাদিত্য সিং একযোগে দাবি করেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করবেন।
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাতেই আস্থা, ত্রিপুরায় নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করল তৃণমূল]
উল্লেখ্য, ৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৩৫। কংগ্রেস জিতেছে ৪০টি আসন। অর্থাৎ কংগ্রেস সুস্পষ্টভাবেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর কংগ্রেসের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল গোটা দলকে একত্রিত রেখে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া। সেটা আপাতত সফলভাবে করে ফেলল হাত শিবির।