সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে (Congress President Election) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) । শনিবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। এক নেতা এক পদ নীতি অক্ষুণ্ণ রাখতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন খাড়গে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) এবং দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদের দৌড়ে রয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন খাড়গে। তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ায় দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh) সভাপতি পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান। এমনকী দিগ্বিজয়ই ছিলেন খাড়গের প্রস্তাবক। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। মনে করা হচ্ছে লড়াই অসম। একদিকে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সমর্থন ধন্য মল্লিকার্জুন খাড়গে। অন্যদিকে কংগ্রেসের অন্দরের ‘বহিরাগত বাবু’। একজন কয়েক দশক কংগ্রেসের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, দিল্লির রাজনীতির মারপ্যাঁচ যার নখদর্পণে। অপরজন দিল্লি তো দূর, নিজের রাজ্য কেরলের দলীয় রাজনীতিতেও নিজের উত্তরণ ঘটাতে পারেননি সেভাবে। তবে এসব সত্ত্বেও লড়াইয়ের ময়দানে আছেন শশী থারুর। তিনি যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
[আরও পড়ুন: ঘাতক যখন পিটবুল, একে একে ১২ জনকে গুরুতর জখম করল কুকুরটি! তারপর…]
শনিবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে মল্লিকাআর্জুন খাড়গের ইস্তফা ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা বলছেন, হাইকম্যান্ডের ইচ্ছে মতোই সবকিছু হচ্ছে। শশী থারুর মনোনয়ন জমা দিলেও সভাপতি নির্বাচনে তিনি ধোপে টিকবেন না। তাছাড়া সাধারণ জনমানসে তাঁর প্রভাব নেই। থারুরকে নিজেদের প্রতিনিধি হিসাবে মনেও করেন না নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা। এইসঙ্গে বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। এর আগে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন। এমনকী মনোনয়ন দেওয়ার পর যে ইস্তাহার তিনি প্রকাশ করেছেন, তাতেও ভারতের ‘বিকৃত’ মানচিত্র প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে। এ হেন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলের সভাপতি হিসাবে কংগ্রেস কর্মীরা চাইবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজারের কম, ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কমল সংক্রমণ]
শশী অবশ্য বারবার দাবি করছেন, সোনিয়া গান্ধী তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে খুশি। এমনকী কংগ্রেসের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী ভোট প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ থাকবেন বলেও দাবি করেছেন থারুর। শুক্রবারও শশী বলেন, “সোনিয়াজির (Sonia Gandhi) আশীর্বাদ নিয়েছি। উনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রার্থী নেই। উনি নির্বাচনে নিরপেক্ষ।” শুধু তাই নয়, এদিন গান্ধীদের ভূয়সী প্রশংসাও করতে শোনা গিয়েছে থারুরকে। তিনি এদিন বলছেন,”কংগ্রেসের ডিএনএ এবং গান্ধীদের ডিএনএ একই।” আসলে থারুর মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন গান্ধীদের নেকনজরে আসতে। কিন্তু ‘ম্যাডাম’ সোনিয়ার পছন্দ যে খাড়গেই, সেটাও কারও কাছে গোপন নেই। খাড়গে নিজে প্রার্থী হতে রাজিই ছিলেন না। ম্যাডামের ইচ্ছাতেই প্রার্থী হতে হয় তাঁকে। সুতরাং হাজার চেষ্টা করলেও সোনিয়ার সমর্থন থারুর পাবেন না।