নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) দলবদলকে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। একইসঙ্গে কংগ্রেস ভাঙিয়ে বিধায়ক, সাংসদদের দলে টানা আদপে বিজেপিরই হাত শক্ত করছে। এমনকী, এ ধরনের ঘটনা বিরোধী ঐক্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেও জানিয়েছেন তিনি। তুলে এনেছে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের প্রসঙ্গও। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের মনে করছে, নাম না করে তৃণমূলকেই নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা।
উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে ৩ মাসের মধ্যে শিবির বদলে ফেলেছেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। দল বদলেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন তিনি। আক্রমণ শানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। এই দলবদলের প্রভাব যে শুধুমাত্র বঙ্গ রাজনীতির মধ্যে আবদ্ধ নয় তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন জাতীয়স্তরে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর মতে, এর প্রভাব পড়বে বিরোধী ঐক্যেও।
[আরও পড়ুন: ভুল করে পাকিস্তানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ায় ২৪ কোটি আর্থিক ক্ষতি, আদালতে জানাল কেন্দ্র]
টুইটারে এদিন তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের টিকিটে ঐতিহাসিক জয়ের মাত্র ৩ মাসের মাথায় বায়রন বিশ্বাসকে লোভ দেখিয়ে ভাঙাল তৃণমূল। এটা সাগরদিঘির ভোটারদের সঙ্গে পুরোপুরি বিশ্বাসঘাতকতা। এর আগে একই ধরনের চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেছে মেঘালয়, ত্রিপুরা, গোয়ার মতো একাধিক রাজ্যে। এধরনের পদক্ষেপ বিরোধী ঐক্যকে মজবুত করে না। বরং বিজেপির উদ্দেশ্যই পূরণ করে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, নাম না করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা। ঘাসফুল শিবির আদপে বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পালটা কংগ্রেসকে তোপ দেগেছে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। তাঁর কথায়, “বিজেপির টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের নেতারা। কংগ্রেস (Congress) তাঁদের নেতাদের ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। ওদের বিধায়কই বলছে কংগ্রেসে কাজ করা যাচ্ছে না। এসব নিয়ে ভাবুক কংগ্রেস।” জাতীয় স্তরে যখন বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোট তৈরির সলতে পাকানোর কাজ চলছে সেই সময় বায়রন বিশ্বাসের এই দলবদল ফের কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে দূরত্ব কি আরও বাড়াবে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।