সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সংগঠনে বড়সড় ঝাঁকুনি দিল কংগ্রেস। অনেকাংশে প্রবীণদের সরিয়ে নবীনদের তুলে আনা হল বড় পদে। দলের সংগঠনে গুরুত্ব বাড়ল শচীন পাইলট (Sachin Pilot), দীপা দাশমুন্সীদের। আবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দায়িত্বভার অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হল দলের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। যা নিয়ে আবার জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার দলের সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব বণ্টন করেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। শচীন পাইলটকে ছত্তিশগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদে আনা হয়েছে। সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে সেরাজ্যে পরাস্ত হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। আবার তেলেঙ্গানা নির্বাচনে ভালো কাজের পুরস্কার পেয়েছেন দীপা দাশমুন্সী। তেলেঙ্গানার পাশাপাশি কেরল এবং লাক্ষাদ্বীপের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। অন্যান্যদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি মানিকরাও ঠাকরে, অবিনাশ পাণ্ডেরা বড় দায়িত্ব পেয়েছেন। পর্যবেক্ষক বদলেছে বাংলারও। এরাজ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব যাচ্ছে কাশ্মীরের নেতা গুলাম আহমেদ মীরের হাতে।
[আরও পড়ুন: ‘কাল আমার বিয়ে চলে আয়!’ এক কাপড়েই মাহি ভাইয়ের বিয়ে খেয়েছিলেন রায়না!]
এসবের মধ্যেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) কোনও নির্দিষ্ট দায়িত্ব না দেওয়া। এতদিন উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে তাঁর অধীনে যোগী রাজ্যে সাফল্যের মুখ দেখেনি কংগ্রেস। তাঁর জায়গায় উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক হিসাবে আনা হয়েছে অবিনাশ পাণ্ডেকে। লোকসভার আগে কেন প্রিয়াঙ্কার হাত ফাঁকা করল কংগ্রেস, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
[আরও পড়ুন: হরমনের জোড়া উইকেটে ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া, ফের টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত]
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি লোকসভায় প্রার্থী হচ্ছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যা। ইতিমধ্যেই মোদির বিরুদ্ধে তাঁকে বারাণসীতে দাঁড় করানোর প্রস্তাব এসেছে। আবার কোনও কোনও মহলে শোনা যাচ্ছে, লোকসভায় প্রিয়াঙ্কাকে গোটা দেশে ব্যবহার করতে চায় দল। সেকারণেই তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় বেঁধে রাখা হচ্ছে না।