নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ৩৪ বছরের পুরনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। তাঁকে ১ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সিধুকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ সিধুর বিরুদ্ধে? ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেছিলেন তিনি। এরপরই মারা যান গুরনাম। এরপরই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। অবশেষে সেই মামলার সাজা পেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় শোনানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা: সুপ্রিম নির্দেশে শুক্রবার পর্যন্ত বারাণসী কোর্টে স্থগিত শুনানি]
জানা যায়, ঘটনার দিন রাস্তার মাঝ বরাবর নিজের জিপসি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন সিধু। সেই সময় গুরনাম ও তাঁর সঙ্গীরা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সিধুকে অনুরোধ করেন, গাড়িটি সরিয়ে রাখতে। সিধু রাজি না হওয়ায় সৃষ্টি হয় বাদানুবাদ। এরপরই সিধু সরাসরি আঘাত করেন ওই ব্যক্তির মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
১৯৯৯ সালে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দিয়ে সিধুকে মুক্তি দেওয়া হলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার নতুন মামলা রুজু করেন মৃতের পরিবার। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্টে দায়ের হওয়া সেই মামলায় ২০০৬ সালে তিন বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় সিধুকে। সেই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। সিধু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১৮ সালে সিধুর শাস্তি কমিয়ে তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে মৃতের পরিবার রিভিউ পিটিশন দাখিল করায় স্থগিত রাখা হয় রায়দান।
[আরও পড়ুন: CBI তদন্তকে চ্যালেঞ্জ, ফের আদালতে পার্থ, SSC ভবনে CRPF পাহারার বিরোধিতায় মামলা রাজ্যেরও]
উল্লেখ্য, গত মার্চে পাঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নভজ্যোৎ সিং সিধুকে। গত বছর জুলাই মাসে প্রদেশ সভাপতি হন তিনি। শুরু থেকেই পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। পরবর্তীকালে চরণজিৎ সিং চান্নির সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। এরপর এবছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া নির্বাচনে কংগ্রেস শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। এরপরই দলের সভানেত্রী সিধুকে সরিয়ে দেন পদ থেকে। এবার ৩৪ বছরের পুরনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি।