রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলীয় কর্মীরা কি ধর্মের ‘নেশা’য় আসক্ত? ধর্মীয় রীতিনীতির পিছনে অহেতুক খরচ করেন? চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাইছে সিপিএম। আসলে সিপিএম জানতে চাইছে, যে কর্মীরা এখনও দলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কতটা বামপন্থী নীতি আদর্শে বিশ্বাস করেন। সেই লক্ষ্যেই কর্মীদের ৭টি করে প্রশ্নের প্রশ্নমালা পাঠাচ্ছে দল।
আসলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে দেশজুড়ে ‘ত্রুটি সংশোধন’ অভিযানে নেমেছে সিপিএম। কেন্দ্রীয় স্তর থেকেই রাজ্যে রাজ্যে কর্মীদের মতাদর্শগত অবস্থান জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সেই মূল্যায়নের জন্য রাজ্য কমিটিগুলি জেলায় জেলায় একটি ফর্ম পাঠিয়েছে। সেই ফর্মেই কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাঁরা ধর্মীয় রীতিনীতির প্রতি আসক্ত কিনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রচুর ব্যয় করেন কিনা।
[আরও পড়ুন: নৃশংস! রাজস্থানে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর খুন! ইটভাটায় মিলল পোড়া দেহাংশ]
সিপিএমের পাঠানো প্রশ্নমালার মূলত দুটি প্রশ্ন চমকপ্রদ। এক, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও কূপমণ্ডূক প্রথাগুলি আপনি কি অনুসরণ করেন? দুই, পরিবারে বিবাহ বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে বিলাসবহুল ব্যয় পরিহার করার ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা? আসলে বামপন্থীদের (Left Front) মতে ধর্ম নেশার মতো। স্বয়ং কার্ল মার্কস বলেছিলেন, ধর্ম আসলে আফিমের মতো। সেই নেশায় কারা আসক্ত জানতে চাইছে দল। পার্টি সদস্যরা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে কতটা বেরোতে পেরেছেন, সেটাও জানতে চেয়েছে সিপিএম (CPIM)।
[আরও পড়ুন: ২৮% জিএসটির আওতায় অনলাইন গেম, ঘোষণা নির্মলার]
বস্তুত ধর্মীয় রীতিনীতি নিয়ে দলের অন্দরে আকস্মিক এই ‘কড়াকড়ি’তে স্তম্ভিত দলের একাংশও। তাঁরা মনে করছেন, দলে সদস্য ও কর্মীসংখ্যা হু হু করে কমছে। সেখানে মতাদর্শ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে এলে ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যেতে পারে।