সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোশিমঠ (Joshimath) ঘিরে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। যে কোনও সময় বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে দেবভূমি। ফাটল দেখা দিয়েছে ৫৬১টি বাড়িতে। ফাটল দেখা দিয়েছে অবস্থিত যোশিমঠ-মালারি সড়কেও। ভারত-চিনের সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত এই রাস্তাজুড়ে নানা স্থানেই দেখা যাচ্ছে বড় বড় ফাটল। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই যোশিমঠের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, যেভাবে ফাটল দেখা দিচ্ছে এখানে, তাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। তাই এখান থেকে পুনর্বাসন দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু অভিযোগ ছিল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রশাসন সেই দাবিতে কান দিচ্ছে না।
কিন্তু সম্প্রতি ফাটল ঘিরে আতঙ্ক বাড়তে থাকায় যোশিমঠ খালি করে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। নৈশাবাসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু পরিবারকে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কোনও হোটেলে থাকা যাবে না বলে পর্যটকদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে চপারও।
[আরও পড়ুন: চরমে মূল্যবৃদ্ধি, ভিখারির দশা পাকিস্তানের! মিলছে না রান্নার তেলও]
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নিজেও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে করতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চামোলি জেলার বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আতঙ্ক গ্রাস করেছে পর্যটকদেরও। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”সকলকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট পাহাড়ি শহর যোশিমঠ। এটি এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। তাই এখানে এর মধ্যে কোনও মাঝারি বা শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে যাবে, এমনই আশঙ্কা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ধরনের নির্মাণকাজ।
কিন্তু কেন দেখা দিচ্ছে ফাটল? গাড়োয়াল ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার সুশীল কুমারের মতে মাটির নিচ থেকে জল ওঠার কারণে কিছু ক্ষেত্রে ফাটল দেখা দিয়েছে। যদিও ধামি জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীরা আসল কারণ অনুধাবন করার চেষ্টা করছেন।