সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। প্রতিবারের মতো এবারও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর কথা শুনল ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া। যা গত বছরের তুলনায় ১৫ লক্ষ বেশি। কেন্দ্রের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে মোদিকে অভিভাবকদের কাছে আরজি জানালেন, যেন তাঁরা সন্তানদের উপরে বেশি চাপ না দেন। পাশাপাশি পড়ুয়াদেরও তিনি স্মার্টওয়ার্ক ও হার্ডওয়ার্কের মধ্যে সমতা রাখার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, পড়ুয়ারা যেন পরীক্ষা হলে অসদুপায় অবলম্বন না করে। কারণ এই ধরনের পদ্ধতি কখনও দীর্ঘকালীন সাহায্যে আসে না।
এদিন ছিল ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র ষষ্ঠদশ সংস্করণ। নয়াদিল্লির তালকোটরা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই এদিন মোদিকে বলতে শোনা যায়, ”পরিবারের সদস্যরা যে পড়ুয়াদের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক। এতে ভুলও কিছু নেই। কিন্তু তাঁরা যদি স্রেফ সামাজিক স্ট্যাটাসের জন্য প্রত্যাশা করেন, তাহলে সেটা উদ্বেগের বিষয়।”
[আরও পড়ুন: ‘আমরাই শীর্ষে’, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমেরিকাকে পিছনে ফেলার দাবি চিনের]
পড়ুয়াদের ফোকাস রাখার বিষয়ে মোদি বলেন, ”ক্রিকেটে একজন ব্যাটার জনতার চার-ছয়ের দাবি তোলা চিৎকারকে পাত্তা না দিয়ে যেভাবে তাঁর দিকে ছোঁড়া বলটির প্রতি মন দেন, সেভাবেই নিজেদের পড়াশোনায় মন দিতে হবে পড়ুয়াদের।”
পাশাপাশি পড়ুয়াদের উদ্দেশে মোদির পরামর্শ, ”কখনও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন কোরো না। কেননা তাতে এক-দু’বার উতরে গেলেও ভবিষ্যতে কিন্তু আটকে যেতে হবে। সব সময় চেষ্টা করবে সৎ পথে চলতে।”
অনুষ্ঠানে কিছু পড়ুয়া মোদির কাছে জানতে চান সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের সমালোচনা তিনি কীভাবে সামলান। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর, ”এটা একেবারেই সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন। সমালোচনা হল আত্মশুদ্ধির মতো। উন্নত গণতন্ত্রের জন্য সমালোচনা খুব জরুরি।”