সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ ছিল নগদের ব্যবহার কমানো। বাজারে ডিজিটাল অর্থ বিনিময়ে উৎসাহ দান। যদিও সেই কাজ ব্যর্থ হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, কমা তো দূরে থাক, ৬ বছর পর সাধারণ মানুষের হাতে নগদ বেড়েছে ৭১.৮৪ শতাংশ। সোমবার মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়ের মধ্যে বাজারে নগদ বেড়েছে ৮৩ শতাংশ।
নোট বাতিলের চার দিন আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর জনতার হাতে নগদ ছিল ১৭.৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ২১ অক্টোবরে জনতার হাতে ছিল রেকর্ড ৩০.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সেই অর্থের পরিমাণ হয়েছে ৩২.৪২ লক্ষ কোটি টাকা। যদিও নোটবন্দির মাস খানেক পরে ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারিতে নগদ অর্থ এক ধাক্কায় পঞ্চাশ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ৯ লক্ষ কোটিতে এসে দাঁড়ায় তা। যদিও এরপর তার ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। বর্তমানে স্পষ্ট, গোটা বিষয়টিই ছিল সাময়িক।
[আরও পড়ুন: ওড়িশায় রহস্যমৃত্যু দুই রুশ নাগরিকের, রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের]
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮টায় আচমকা নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ছয় বছর আগে মোদির ঘোষণা ছিল, দুর্নীতি এবং কালো টাকায় রাশ টানার উদ্দেশ্যে তাঁর সরকারের নোট বাতিলের পদক্ষেপ করছে। অথচ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এ দেশে মানুষের হাতে এই মুহূর্তে রেকর্ড পরিমাণ নগদ টাকা রয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য প্রথম থেকেই বলে আসছিল, নোট বাতিল গিমিকের রাজনীতি। মোদির দাবি অনুযায়ী ফল মেলেনি। উলটে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এটিএম কাউন্টেরর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে, স্রেফ হটকারি সিদ্ধান্তে। আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীদের দাবি, তাদের কথাতেই শিলমোহর দিল ভারতের শীর্ষ ব্যাংক।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে বাড়ল GST-র পরিমাণ, একমাসে করের পরিমাণ দেড় লক্ষ কোটি]
বিচারপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চে নোট বাতিলকে (Demonetisation) বৈধ বললেও ভিন্ন মন্তব্য করলেন বিচারপতি বি ভি নাগারত্না (B V Nagarathna)। তিনি এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বললেন। তাঁর মতে, যে লক্ষ্যে নোটবন্দি করা হয়, তা আদৌ পূরণ হয়নি। যদিও সাংবিধানিক বেঞ্চের বাকি চার বিচারপতি নাগারত্নার সঙ্গে একমত হননি।