সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদির রাজ্যের দোরগোড়ায় ‘বিপর্যয়’ (Biparjoy)। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আতঙ্কের প্রহর গুনছে গুজরাটবাসী (Gujarat)। এর মধ্যেই ভয় বাড়িয়েছে ভূমিকম্প। বুধবার কেঁপে ওঠে কচ্ছ জেলা। ভূমিকম্পের মাত্রা বেশি না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের আবহে নয়া দুর্যোগে আতঙ্ক ছড়ায় উপকূলবর্তী এলাকায়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৫। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গুজরাট উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এখনও পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৩৪৫ জন উপকূলবর্তী বাসিন্দাকে সরিয়েছে প্রশাসন।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এবং পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান উপকূল অতিক্রম করবে ‘বিপর্যয়’। ঝড়ে বড়সড়ের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তান উপকূলেও। গতকাল থেকেই সেখানে নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে স্থানীয়দের। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃ়ষ্টির চলবে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, নয়াদিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
[আরও পড়ুন: চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে উত্তরাখণ্ডে চালু হবে নয়া বিমানবন্দর]
মৌসম ভবনের (Mausam Bhavan) আশঙ্কা, বিপর্যয়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার গুজরাটের উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্রে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। গুজরাটের মাণ্ডবী এবং পাকিস্তানের করাচির কাছে জখৌ বন্দরের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ‘বিপর্যয়ে’র কারণে ক্ষতির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি হয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, দমন ও দিউ, লক্ষদ্বীপ এবং দাদর ও নগরহাভেলিতেও। বন্ধ স্কুল, বাতিল এখাধিক ট্রেন।
[আরও পড়ুন: দুর্নীতি তরজায় সরগরম তামিলনাড়ু, রাজ্যে সিবিআই প্রবেশে ‘না’ স্ট্যালিন সরকারের]
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গুজরাটগামী অথবা গুজরাট থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল এমন ৯৫টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করেছে পশ্চিম রেল। উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যাদের বাড়ি তাঁদের প্রত্যেককে নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। ‘বিপর্যয়ের’ কারণে কচ্ছ, পোরবন্দর, দ্বারকা, গির সোমনাথের মতো এলাকায় দু’দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দিরের দরজা। বিপর্যয় ঠেকাতে প্রস্তুত ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (NDRF) ১৮টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (SDRF) ১২টি, রাজ্য সড়ক ও বিল্ডিং বিভাগের ১১৫টি দল। এছাড়াও প্রস্তুত রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দলকে গুজরাটের উপকূলীয় জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে।