সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে চিনের (China) চোখরাঙানির মধ্যেই বড় সাফল্য ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান কিনতে ১ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করল প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। জানা গিয়েছে, দেশীয় সংস্থায় তৈরি ৯৭টি তেজস যুদ্ধবিমান কেনা হবে। সেই সঙ্গে কেনা হবে ১৫৬টি প্রচণ্ড হেলিকপ্টারও। যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করবে ভারতীয় সেনা (Indian Army) ও বায়ুসেনা (Indian Air Force)। উল্লেখ্য, এর আগে দেশীয় সংস্থা এত বড় অঙ্কের বরাত পায়নি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকদিন আগেই তেজস বিমানে সওয়ার হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার এই যুদ্ধবিমানের চুক্তিতে অনুমোদন মিলেছে।, জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই এই যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার কথা ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। তার আগেই এই চুক্তিতে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। জানা গিয়েছে, ৯৭টি তেজসের দাম আনুমানিক ৬৫ হাজার কোটি টাকা। হ্যালের তৈরি নকশা অনুযায়ী তৈরি হবে যুদ্ধবিমানগুলো। তবে এখনও এই প্রকল্পে কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলেনি। বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গেও আলোচনা বাকি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘গরিবরাই সবচেয়ে বড় জাত’, জাতিগত জনগণনা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মন্তব্য মোদির]
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ ছিল দেশের মাটিতে যুদ্ধবিমান-সহ অন্যান্য সমরাস্ত্র তৈরি করা। গত বছরই ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে বলা হয়, “১১৪ টি যুদ্ধবিমান দরকার আমাদের। তার মধ্যে ৯৬টি বিমান ভারতের মাটিতেই তৈরি করা হবে।” তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগতে পারে।
প্রতিবেশী চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে যুদ্ধবিমানের বিশেষ প্রয়োজন ভারতের। ২০২০ সালে লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল রাফালে (Rafale) যুদ্ধবিমানগুলো। অরুণাচল প্রদেশেও সীমান্ত এলাকায় কাজে লাগবে বিমানগুলো। শীর্ষকর্তাদের মতে, আরও অনেক বেশি যুদ্ধবিমান দরকার ভারতের। কম খরচে তৈরি করা যুদ্ধবিমান, যেগুলি কার্যক্ষেত্রে বেশি কাজ দেবে – এই ধরনের বিমান ব্যবহার করতেই বেশি আগ্রহী ভারতীয় বায়ুসেনা।