সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করছে দলিত পড়ুয়ারা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গভীর ট্যাঙ্কে নেমে পরিষ্কার করছে পড়ুয়ারা, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ভয়াবহ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কর্নাটক প্রশাসন। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানান, গোটা ঘটনার বিশদ তদন্ত করা হবে। কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে দোষীদের।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কোলারে। সেখানে মোরারজি দেশাই আবাসিক স্কুলের চার দলিত ছাত্রকে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। চার পড়ুয়াকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বলা হয়, হাত দিয়ে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ মেনে সেপটিক ট্যাঙ্কে নামতে বাধ্য হয় চার পড়ুয়া। গোটা ঘটনার ভিডিও করেন স্কুলের অন্য কয়েকজন শিক্ষক। সেখান থেকেই প্রকাশ্যে আসে ন্যক্কারজনক ঘটনার খবর। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের।
[আরও পড়ুন: মদ্যপের হাতে গাড়ি নয়, বর্ষশেষে ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ রুখতে কড়া ব্যবস্থা]
এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কর্নাটকের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এইচ সি মহাদেবাপ্পা। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্কুলের চার অশিক্ষক কর্মীও। চাকরি থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। যদিও চার দলিত পড়ুয়ার কী অবস্থা, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, এই স্কুলটিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। মোট ২৪৩ জন পড়ুয়া রয়েছে এই স্কুলে।
কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) বলেন, “এই ঘটনাটার খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পরিষ্কার করার উপর বহুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ উড়িয়েই পড়ুয়াদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে কর্নাটকের স্কুলটিতে।