সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানেই লুকিয়ে রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। সেখান থেকে মুম্বইতে ভাইদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা করে পাঠায় সে। সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) জেরায় প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। অর্থাৎ ফের একবার দুনিয়ার সামনে ইসলামাবাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠীকোন্দল, দলত্যাগে জীর্ণ বঙ্গ বিজেপি! কর্মীদের চাঙ্গা করতে জুনের শুরুতেই রাজ্যে নাড্ডা]
ইডি সূত্রে খবর, নবাব মালিকের বিরুদ্ধে দাউদ যোগ ও টাকা নয়ছয়ের মামলায় তদন্ত জোরকদমে চলছে। ওই মামলায় ইডির চার্জশিটে নাম থাকা দুই গুরত্বপূর্ণ সাক্ষীকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ওই সাক্ষীদের মধ্যে অন্যতম আলিশাহ পার্কার দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের ছেলে। তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, “দাউদ আমার মামা। ১৯৮৬ সাল নাগাদ মুম্বইয়ের ডাম্বরওয়ালা বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় থাকতেন তিনি। কিন্তু ৮৬-র পর সেখান থেকে চলে যান তিনি। আত্মীয়দের থেকে শুনি দাউদ মামু নাকি পাকিস্তানের করাচি শহরে আছেন। তবে আমার বা আমার পরিবারের সঙ্গে তাঁর আরও কোনও যোগাযোগ নেই।” সে আরও জানায়, দিওয়ালি বা ইদে দাউদের স্ত্রী নিজের ভাইবোনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ওই মামলার আরও এক সাক্ষী খালিদ উসমান শেখ ইডি’র তদন্তকারীদের জানিয়েছে যে ভাই ইকবাল কাসকরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে দাউদের। জেরায় উসমান বলে, “কাসকর আমাকে বলেছে যে দাউদ নিজের লোকজনের হাতে টাকা পাঠায়। সেও নাকি প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা করে পায়। আমাকে তাড়া তাড়া নোট দেখিয়েছে কাসকর।” সবমিলিয়ে তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, মুম্বইয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দাউদ। মুম্বই বিস্ফোরণের পর থেকেই পাকিস্তানে বসে ডি-কোম্পানি সামলাচ্ছে সে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে গ্রেপ্তার করে ইডি। ভারতে সন্ত্রাসবাদে অর্থসাহায্যের অভিযোগে ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ দাউদ ইব্রাহিম, তার ভাই আনিস, ইকবাল, সহযোগী ছোটা শাকিল এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একটি মামলায় নবাব মালিকের নাম উঠে আসে।