সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়াতে স্মৃতি ইরানির মেয়ের বেআইনি পানশালা নিয়ে সমস্ত টুইট মুছে ফেলতে হবে বলে জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে তিন নেতাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার মামলার শুনানির সময়ে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা কিছু লিখেছেন কংগ্রেস নেতারা, সমস্ত কিছু মুছে ফেলতে হবে। এই মর্মে তিন কংগ্রেস নেতাকে নোটিসও দিয়েছে দিল্লি আদালত। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, পবন খেরা, এবং নেট্টা ডি’সুজাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রমেশ।
মৃত ব্যক্তির নামে বার লাইসেন্স ইস্যু করার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতির (Smriti Irani) কন্যা জোইশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে দিলি হাই কোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন স্মৃতি ইরানি। সেই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) জানিয়েছে, “অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে তিন কংগ্রেস নেতার উপরে। বেআইনি বার নিয়ে যা কিছু টুইট করেছেন জয়রাম রমেশ, পবন খেরা এবং নেট্টা ডি’সুজা, সেগুলি অবিলম্বে মুছে ফেলতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মোদিও বলেছিলেন, ‘বেটি পটাও’, বিজেপি নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যই রাষ্ট্রপতি বিতর্কে হাতিয়ার অধীরের]
আদালতের নির্দেশের পর জয়রাম রমেশ পালটা টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “এই মামলার উত্তর দেওয়ার জন্য আদালতের তরফ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আমরাও আদালতের কাছে নিজেদের বক্তব্য পেশ করব। স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) আমাদের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছেন, সেগুলি মিথ্যা প্রমাণ করব।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল তিন কংগ্রেস নেতাকে। সেখানে বলা হয়েছিল, স্মৃতি-কন্যা জোইশের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করায় নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে কংগ্রেস নেতাদের। এইসঙ্গে যাবতীয় অভিযোগ তুলে নিতে হবে। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, জোইশ ইরানি কোনও বার চালান না। এমন অভিযোগ করায় জোইশ ও তাঁর মা, যিনি একজন জনপ্রতিনিধি, তাঁর মানহানি হয়েছে।
গত ২২ জুন সিলি সোলস কাফে অ্যান্ড বার নামে ওই মদের দোকানের লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। অ্যান্থনি ডি’গামা নামে এক ব্যক্তির নামেই লাইসেন্স বানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই স্থানীয় আইনজীবী আইরেস রডরিগেজ অভিযোগ জানান, বিভ্রান্তিকর নথিপত্র পেশ করে লাইসেন্স আদায় করা হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখার জন্য আরটিআইয়ের আবেদন করেন তিনি। সেখানেই জানা যায়, ২০২১ সালের ১৭ মে মৃত্যু হয়েছে অ্যান্থনি ডি’গামার। খাদ্য বিশারদ কুণাল বিজয়করের সঙ্গে একটি আলোচনাসভায় স্মৃতি ইরানির কন্যা জোইশ জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক মানের খাদ্যসম্ভার নেই গোয়াতে। সেই অভাব পূরণ করবে তাঁর রেস্তরাঁ সিলি সোলস।