সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেট্রোর নিচে চাপা পড়তে পড়তে বরাত জোরে বাঁচলেন যুবক। ওই যুবকরে নাম ময়ূর প্যাটেল। তিনি এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্যই একাজ করেছেন বলে খবর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর শাস্ত্রীনগর মেট্রো স্টেশনে। ময়ূর যখন মেট্রো ধরতে যাচ্ছেন তখন সিঁড়ি বা এসক্যালেটর ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে যাননি। তিনি রীতিমতো মেট্রো রেলের লাইনে নেমে গিয়েই উলটো দিকে প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। উলটোদিকের লাইনে তখন দাঁড়িয়ে রয়েছে মেট্রো। সিগন্যালও হয়ে গিয়েছে। ট্র্যাক সামলে দাঁড়িয়ে থাকা মেট্রোর গা ঘেঁষেই এগিয়ে যান ময়ূর। ট্রেনের একেবারে সামনে থেকে প্ল্যাটফর্মে ওঠার চেষ্টাও করেন। ঠিক সেই সময়ই চলতে শুরু করে দাঁড়িয়ে থাকা মেট্রো। ওই যুবকের সঙ্গে মেট্রোর ব্যবধান তখন গজখানেকও নয়। প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ার আগেই চলে আসে মেট্রো। পরিস্থিতি আঁচ করে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন চালক। এক কথায় চালকের বদান্যতায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান ময়ূর প্যাটেল। এহেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লি মেট্রোতে।
[জ্যাকসনের স্টেপ নকলে বিপদ, মেরুদণ্ডের গুরুতর অসুখে ভুগছেন নৃত্যশিল্পীরা]
মেট্রো স্টেশনে থাকা সিসিটিভি-তে স্পষ্ট ধরা পড়েছে গোটা দৃশ্য। হাতে হলুদরঙা তোয়ালে হাতে নিয়ে লাফিয়ে উঠতে গিয়েও পারলেন না। শেষপর্যন্ত ট্র্যাক ধরেই হাঁটতে শুরু করলেন। ততক্ষণে আসন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে এসেছেন মেট্রোর চালক। শুধু ভাগ্য নয়, চালকের হুঁশিয়ারিতে প্রাণ বাঁচল বছর একুশের ওই যুবকের। তবে গোটা ঘটনায় রাজধানীর মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিরাপত্তা রক্ষী থেকে শুরু করে সিসিটিভি-র বন্দোবস্ত, তারপরেও এক যাত্রী কী করে মেট্রোর ট্র্যাকে নেমে যাতায়াত করলেন, আর কারোর চোখেই পড়ল না? বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম সদুত্তর দিতে পারেননি শাস্ত্রীনগর মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে নিয়ম অনুযায়ী মেট্রো রেলের ট্র্যাকে নেমে চলাচল আইনত নিষিদ্ধ। কেউ যদি নিয়ম ভেঙে তা করেন তাহলে শাস্তি অনিবার্য। শাস্তির তালিকায় রয়েছে ছমাস কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জরিমানা দিয়েই ছাড়া পাওয়া যেতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুটি শাস্তি বাধ্যতামূলক।
[আজ শপথগ্রহণ কুমারস্বামীর, মঞ্চ থেকেই যাত্রা শুরু বিরোধী ঐক্যের!]
The post চলন্ত মেট্রোর নিচে চাপা পড়তে পড়তে প্রাণে বাঁচলেন যুবক, দেখুন ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.
